পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, যে দুটি প্রধান লক্ষ্য নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যপ্রাচ্য সফর করবেন, তার মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যুটি নেই। সাফা নিউজ এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে। আগামী ১৩ জুলাই মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাচ্ছেন বাইডেন। সফরের শুরুটা তিনি করবেন ইসরাইল থেকে। এরপর অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেথলেহেমে যাবেন। যেখানে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে দেখা করবেন। এরপর যাবেন সৌদি আরব। সেখানে রাজধানী রিয়াদে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, কাতার, মিসর, জর্ডান ও ইরাকের শীর্ষ নেতারা এই সম্মেলনে অংশ নিবেন। ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আহমেদ রফিক আওয়াদ এবং হুসাম আল-দাজনি সাফা নিউজ এজেন্সিকে দেয়া দুটি পৃথক সাক্ষাৎকারে একমত হয়েছেন যে, বাইডেনের সফরের দুটি প্রধান লক্ষ্য রয়েছে। এর একটি হলো- ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট দুর করা। অপরটি হলো - ইসরাইল এবং আরব দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি জোট গঠনের মাধ্যমে ইরানের হুমকি রোধ করা। আওয়াদ বলেন, ‘এই সফরের প্রধান লক্ষ্য ইসরাইলের নিরাপত্তা এবং এই অঞ্চলে সুসংহত করা, সর্বোপরি পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে যেন ইসরাইল হাতের মুঠোয় নিতে পারে, সে ব্যাপারে সহায়তা করা।’ ‘দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো আরব তেল উৎপাদকদের উৎপাদন বাড়াতে চাপ দেয়া, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতি মেটানো যায়। পাশাপাশি তাদের রাশিয়ার জোট থেকে দূরে রাখা।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ফিলিস্তিনিদের জন্য, এ সফরটি বাস্তবে কোনো সুফল বয়ে আনবে কিনা, সে ব্যাপারটি স্পষ্ট না। এবং বাইডেনই একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট যার ফিলিস্তিনি-ইসরাইল দ্ব›দ্ব সমাধানের পরিকল্পনা নেই।’ আওয়াদ সর্বশেষ বলেন, ‘এই সফরে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে ইসরাইল।’ সাফা নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।