পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। মূল্যসূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসই লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও প্রায় দুই ডজন প্রতিষ্ঠানের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য পড়ে থাকে লেনদেনের প্রায় পুরো সময়।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরুর দুই মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় সূচকটি বাড়ে ১৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে লেনদেনের শেষদিকে এসে দাম বাড়ার তালিকা থেকে কিছু প্রতিষ্ঠান পতনের তালিকায় নাম লেখায়।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৯৯টি বা ৫২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৩টির। আর ৫০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে তিনটির শেয়ার দাম দিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেড়েছে। বিপরীতে ২৩টির দাম দিনের সর্বনিম্ন পরিমাণ কমেছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ স‚চক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বাজারটিতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮১৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিকসের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ২৯ কোটি ৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, মুন্নু ফেব্রিক্স, স্যালভো কেমিক্যাল, ইয়াকিন পলিমার এবং জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৪৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৩৭ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২৯৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৭টির এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।