পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধের (লকডাউন) মধ্যে দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের বাজারে মূল্য সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে বিধিনিষিধের মধ্যে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এই কঠোর বিধিনিষেধ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে ব্যাংক বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও এই সময়ে ব্যাংক বন্ধের নির্দেশনা দেয়। যার প্রেক্ষিত্রে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু গত মঙ্গলবার মন্ত্রীপরিষদ থেকে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কঠোর লকডাউনের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শেয়ারবাজরে লেনদেন চলবে।
এ পরিস্থিতি বিধিনিষেদের মধ্যের দ্বিতীয় কার্যদিবসে গতকাল লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচকের বেশি অস্থিরতা দেখা যায়। প্রথম ঘণ্টার লেনদেন কয়েক দফা সূচকের উত্থান-পতন হয়। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শুরু হলেও ২৫ মিনিটের মাথায় সূচকটি ৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে সূচক আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক হারায় ১৭ পয়েন্ট।
তবে শেষ এক ঘণ্টার লেনদেনের পুরোটা সময় ঊর্ধ্বমুখী থেকেছে শেয়ারবাজার। শেষদিকের লেনদেনে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় সকটি মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের উত্থানের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬০২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৫৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে ১২ কার্যদিবস পর বা ২৯ মার্চের পর ডিএসইতে ছয়’শ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হল।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি ফাইন্যান্সের ৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, রবি, লাফার্জহোলসিম, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, আরডি ফুড এবং এশিয়া প্যাসেফিক ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৫টির এবং ৩৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।