পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ সার্বিকভাবে ডিজিটালাইজেশনে অনেক বেশি অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের স্ট্যান্ডার্ড মাত্র শুরু হলো। দেশের অর্থনৈতিক সূচক অগ্রগতি অনেক ভালো, অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে, তবে শেয়ারবাজার ও বীমায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছি বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান। তিনি বলেন, এ দুই জায়গায় এখনো আমরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারছি না। দেশের সাধারণ মানুষ এখনো মনে করেন, এ দুই জায়গায় যারা বিচরণ করেন তারা ভালো মানুষ না। এখানে বিনিয়োগ করলে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা ঠকায় বলে সাধারন মানুষ মনে করে। এ অনাস্থা কাটিয়ে তুলতে হবে। এ দুই জায়গায় উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে দেশের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অনেক কঠিন হয়ে যাবে। মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, গত এক বছরে শেয়ার মার্কেটে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এটা নি:সন্দেহে একটি উন্নতি। যদিও এখনো শেয়ারমার্কেট নিয়ে গর্ব করার মতো কোন স্থান তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন জিডিপির ২০ শতাংশের নিচে। আশার কথা হচ্ছে, প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন বর্তমানে আমাদের রেগুলেটরি বডিতে যারা আছেন, তারা অত্যন্ত ডায়নামিক। তারা অনেক ভালো কাজ করেছে। নতুন পণ্য আনার চেষ্টা করছে। আমরা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে একটি ভালো প্লাটফর্ম তৈরির চেষ্টা করছি। আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে একটি অত্যন্ত আধুনিক এবং বিশে^র অন্যান্য দেশের এক্সচেঞ্জের সঙ্গে তুলনা করা যায় এমন একটি প্লাটফর্ম এখানে তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আস্থা যদি আমরা অর্জন করতে পারি, আমাদের কথা এবং কাজে যদি অমিল না থাকে তবে অচিরেই ‘ফ্রন্টিয়ার মার্কেট’ থেকে ‘ইমার্জিং মার্কেটে’ নিয়ে যাবো।
ডিএসই’র পেপার বা কাগজ থেকে অনলাইনে সব কাজকর্ম শুরু করার উদ্বোধনীতে গতকাল বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পেপারবিহীন যুগে পৌঁছাতে যাচ্ছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আংশিক পেপারবিহীন কার্যক্রম শুরু করবে ডিএসই। চলতি বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ডিএসইর সব কার্যক্রম পেপারবিহীন করা হবে। এ উপলক্ষে ডিএসইর নিকুঞ্জ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএসইর পরিচালক সালমা নাসরীন। এছাড়া প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমান, ডিবিএর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও, বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান এবং সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. শফিকুর রহমান।
ডিএসই পেপারবিহীন হওয়ার ফলে কাগজে চিঠিপত্র চালাচালি বন্ধ হয়ে যাবে। এরইমধ্যে ডিএসইর কিছু বিভাগে এর বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে। যা ধীরে ধীরে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে শুরু করা হবে বলে অনুষ্ঠানে ডিএসই’র পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, ডিএসই’র এ পেপারবিহীন হওয়ার ফলে স্টেকহোল্ডারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সময় ব্যয় কমে আসবে। এছাড়া স্টেকহোল্ডারসহ ডিএসইর আর্থিক ব্যয় কমে আসবে ও কাগজপত্র সংরক্ষণের জটিলতা কমবে। তবে, অনলাইনে যেহেতু চিঠিপত্র দেয়া-নেয়া হবে, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ বিএসইসি’র সঙ্গে ডিএসই’র এবং ডিএসই’র সঙ্গে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। যার গোপনীয়তা খুবই জরুরি।
ডিএসই’র চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, ডিএসইতে আসার আগে শুনতাম এখানে শতভাগ অটোমেটেড সিস্টেম। কিন্তু পরে দেখলাম বাস্তবে তা নেই। অনুষ্ঠানে ক্লাউড-ভিত্তিক অনলাইনে তথ্য দেয়া-নেয়ার ঝুঁকির বিষয়ে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনার পরেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ হ্যাকিংয়ের ঘটনার পরে নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তবে আমরা ক্লাউড-ভিত্তিক তথ্য দেয়া-নেয়া করলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কম। জমা করা তথ্য হ্যাকিং হওয়ার সুযোগ নেই। তবে তথ্য দেয়া- নেয়ার সময় ঝুঁকি আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।