মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিম তীরে তৈরি করা দেয়াল সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছে ইসরাইল। উঁচু এই দেয়াল নির্মাণের কাজ এখনও চলছে। এই নির্মাণ কাজ বাধাহীন রাখতে সেখানে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ‘শুট টু কিল’ নীতিও চালু করেছে ইসরাইল। এই কড়াকড়ির একমাত্র উদ্দেশ্য দ্রুত এই দেয়াল নির্মাণের কাজ শেষ করা এবং ভবিষ্যতে এটিকে সুরক্ষিত রাখা। আরব নিউজের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে থেকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে শুরু করেছে ইসরাইলের ওই ‘ওয়াল ব্রিগেড’। এর রয়েছে ৬টি ব্যাটালিয়ন যার সদস্য সংখ্যা ২ হাজার ১০০ জন। ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দেয়ালটির উচ্চতা ৭ মিটার। দক্ষিণ জেনিন থেকে শুরু করে পশ্চিম তীরের সীমান্ত ঘেষে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর জন্য ইসরাইলের ব্যয় হবে ১১০ মিলিয়ন ডলার। এক ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সূত্রে আরব নিউজ জানিয়েছে, পশ্চিম তীর থেকে হামলাকারীরা ইসরাইলে প্রবেশ করে একাধিক হামলা চালিয়েছে। এই হামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত এই দেয়াল নির্মাণ করতে চায় ইসরাইল। নতুন ব্রিগেডের দায়িত্ব হচ্ছে এই দেয়ালকে নিরাপদ রাখা, যে অংশের কাজ এখনও বাকি আছে তা নির্মাণে নিরাপত্তা দেয়া এবং কিছু অংশ যা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে তা পুনরায় নির্মাণ করা। ভাঙ্গা অংশ দিয়ে ফিলিস্তিনিরা চাইলেই ইসরাইলে প্রবেশ করতে পাড়ছে। এই দেয়াল নিয়ে ফিলিস্তিনি ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ পার্টির মহাসচিব মুস্তফা বার্ঘুতি বলেন, এর একমাত্র উদ্দেশ্যে ফিলিস্তিনিদের হত্যা এবং নির্যাতন বৃদ্ধি করা। এই বছরের প্রথম থেকে অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। তাদের মধ্যে ১৬ শিশুও ছিল। তাদের সবাই কিন্তু সশস্ত্র ছিল না এবং ইসরাইলের জন্য হুমকিও ছিল না। এই দেয়াল কোনো আন্তর্জাতিক সীমানায় না। এটি ইসরাইলি সেনারা পশ্চিম তীরের মাটিতে নির্মাণ করেছে। ওয়াল ব্রিগেড তৈরির পর থেকে ফিলিস্তিনি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য গুলির নির্দেশনায়ও পরিবর্তন এনেছে ইসরাইল। এই দেয়ালকে এখন থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত মনে করছে দেশটি। এখন থেকে যে কেউ এই দেয়াল পাড় হওয়ার চেষ্টা করবে, তাকেই গুলি করতে পারবে ইসরাইলি সেনারা। এরইমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে সতর্কতাও জারি করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। যদিও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইনেও এ ধরনের নিয়ম নেই। কেউ যদি অস্ত্রহীন অবস্থায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করে তাহলে প্রথমে ফাকা গুলি করে তাকে সতর্ক করতে হবে। এরপরও না শুনলে তার পায়ে গুলি করা যাবে। কিন্তু গুলি করে হত্যা করা যাবে না কখনই। ইসরাইলের এই আইন থেকেই বুঝা যায় যে, তারা ফিলিস্তিনিদের জীবনকে মূল্য দেয় না। আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।