মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনকে ঠেকাতে বিশাল অঙ্কের তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে জি-সেভেনের নেতারা। চীনা বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এর বিরুদ্ধে তারা ৬০ হাজার কোটি ডলার তহবিল তৈরির ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
এই অর্থ দিয়ে কম আয়ের দেশগুলিতে এমন পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে, যা যে কোনো আবহাওয়া সহ্য করে টিকে থাকতে পারবে। খবর রয়টার্সের
রোববার জার্মানিতে গ্রুপ অফ সেভেন (জি সেভেন) দেশের শীর্ষ নেতারা আলোচনায় বসেন। ৬০ হাজার কোটি ডলারের পরিকাঠামো তহবিলই ছিল সেখানে প্রথম ঘোষণা। চীন ইতিমধ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) নিয়েছে। তারই মোকাবিলায় জি-সেভেন এই প্রকল্প হাতে নিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, 'এই বিনিয়োগের ফলে সকলে লাভবান হবেন। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষও লাভবান হবেন। সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতি লাভবান হবে।'
বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা এই বিআরআই চাপিয়ে দিয়ে কম আয়ের দেশগুলিকে ঋণজালে আবদ্ধ করছে। এর ফলে চীনের লাভ হচ্ছে। কারণ, তারা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপে বাণিজ্য বিস্তার করতে পারছে।
নতুন তহবিল থেকে অ্যাঙ্গোলায় ২০০ কোটি ডলার দিয়ে সোলার ফার্ম গড়ে তোলা হবে, ৩২ কোটি ডলার দিয়ে আইভরি কোস্টে হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় চার কোটি ডলার দিয়ে আঞ্চলিক স্তরে বিকল্প শক্তি বাণিজ্যকে উৎসাহ দেয়া হবে।
বৈঠকের প্রথম দিনেই জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস ভাষণে বলেন, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই পরিকাঠামোগত পরিকল্পনা খুব জরুরি। রাশিয়া এখন শক্তিকে (তেল-গ্যাস-কয়লা) একটা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। তাদের মোকাবেলায় এই পরিকল্পনা নেয়া দরকার ছিল।
শলৎস ও বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করেছেন। সেখানে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর জন্য বাইডেন শলৎসের প্রশংসা করেছেন। বাইডেন বলেছেন, জার্মানি হলো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু ও শরিক দেশ। বাইডেন জানিয়েছেন, জি-সেভেন ও ন্যাটো দেশগুলি যেন এক হয়ে রাশিয়ার মোকাবেলা করে।
জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের আগে যুক্তরাজ্য ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা ও যুক্তরাজ্য রাশিয়া থেকে সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করছে। এর ফলে রাশিয়ার উপর আরো চাপ তৈরি করা যাবে বলে যুক্তরাজ্য মনে করছে। এর ফলে পুতিন সরাসরি ধাক্কা খাবেন বলে তারা মনে করছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জি-সেভেন বৈঠকে এই নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হবে। সূত্র : রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।