বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ত্রাণ না পেয়ে বন্যাদুর্গত মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর অবস্থায় দিন যাপন করছে। নিরন্ন, বুভুক্ষ মানুষ সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা চায় না, মালিকানার হিস্যা চায়, হিসাব চায়। ত্রাণের অভাবে মানুষ যখন দিশেহারা, সরকার তখন সেতু উদ্বোধনের নামে উৎসব করছে। আওয়ামী লীগ জনগণের টাকা দূর্নীতি লুটপাট করে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, জনগণকে অভুক্ত রেখে দুর্ভোগ-দুর্দশার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) কিশোরগঞ্জ জেলার বন্যাকবলিত হাওড় অঞ্চল পরিদর্শন ও ইটনা উপজেলা সদর ও ধনপুর ইউনিয়নে দূর্গত মানুষের মাঝে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পক্ষ থেকে ত্রান বিতরনকালে দূর্গত মানুষের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সকাল ১১ টায় কিশোরগন্জ ঘাট থেকে ট্রলার যোগে হাওড়ের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। বেলা ৩ টায় ইটনার ধনপুর ও বিকেল ৫ টায় সদরে ইটনা নতুন বাজার কলেজ মাঠে ত্রাণ বিতরণ করেন। ইটনা নতুন বাজার কলেজ মাঠে সকালে ত্রাণ বিতরণের জন্য সামিয়ানা টাঙানো হলে পুলিশ এসে তা বাধা দেয় ও সরঞ্জাম নিয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নীচে প্রখর রোদের মধ্যে ত্রান বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণের আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, এড.ফজলুর রহমান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম, এড.ওয়ারেস আলী মামুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম,তানভীর আহমেদ রবিন,হাজী মনির হোসেন, বিএনপি নেতা কমিশনার জুম্মন মিয়া, ফরহাদ হোসেন, আকবর হোসেন নান্টু, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি রুহুল হোসাইন, এড.শরীফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, নাজমুল আলম, আমিনুল ইসলাম আশফাকসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, একজন ব্যাক্তির ইচ্ছা পূরণের জন্য হাওড়ের ভেতর দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণের ফলে ঢলের পানি নামতে পারছে না। তিনি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয়ের সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণের সরকার হলে জনগণের দুঃসময়ে এসব করতো না।
ত্রাণের জন্য অপ্রতুল বরাদ্দ দিয়ে সেতু প্রঙ্গনে আওয়ামী নেতাকর্মীদের জন্য ৯ কোটি টাকা ব্যায় করে একদিনের জন্য টয়লেট নির্মান করা হয়েছে,জেলায় জেলায় আলোকসজ্জা, আতশবাজি উৎসবের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা অমানবিক ও দূর্দশাগ্রস্ত মানুষের সাথে উপহাস।
তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের দল বলেই বিরোধী দলে থেকেও নেতাকর্মীরা নিজেদের তহবিল থেকে দূর্গত মানুষকে সহায়তা করছে।
আবদুস সালাম বলেন, দূর্দশাগ্রস্ত মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থাকলে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার করে পরিদর্শন না করে সরেজমিনে বন্যার্ত এলাকায় যেয়ে পরিস্থিতি অবলোকন করতেন,নিজ হাতে ত্রাণ বিতরন করতেন। তিনি সিলেট সার্কিট হাউজে ত্রাণ বিতরণের নামে ফটোসেশন করেছেন। তিনি বলেন,আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, ২০১৪ ও ১৮'র মত নির্বাচন করতেও দেবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।