মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় উত্তাল হয়েছিল দেশ। বিরোধীদের নিশানায় ছিলেন রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছিল। সিটের ওই রিপোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন দাঙ্গায় মৃত এমপি এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি। গতকাল শুক্রবার সিটের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে জাকিয়া জাফরির দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির বিধবা জাকিয়া জাফরির দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যা ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরো কয়েকজনকে বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) দ্বারা দেওয়া ক্লিন চিটকে চ্যালেঞ্জ করে।
বিচারপতি এ এম খান উইলকরের নেতৃত্বে বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং সি টি রবিকুমারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর গুজরাট হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে জাকিয়া জাফরির আপিলের শুনানি করে। গত ডিসেম্বরে শুনানি শেষ হলেও আদেশ সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল। সিটের রিপোর্ট অনুসারে দাঙ্গা-সংক্রান্ত মামলায় তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী মোদি এবং আরো ৬৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের গুরুত্ব নেই বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গোধরায় সবরমতি এক্সপ্রেসের একটি কোচ পুড়িয়ে দেওয়ার একদিন পর ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটিতে নিহত ৬৪ জনের মধ্যে একজন ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এহসান জাফরি। এরপর দাঙ্গা আরো ভয়াবহ হয়।
২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সিট গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদিকে ক্লিন চিট দিয়ে একটি ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছিল। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাসহ আরো ৬৩ জন সমন্ধে সিট জানায় যে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ‘বিচারযোগ্য প্রমাণ’ নেই। ২০১৮ সালে জাকিয়া জাফরি সিটের গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। যা ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর প্রত্যাখ্যান করে হাইকোর্ট। এরপর একই চ্যালেঞ্জ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জাকিয়া। আবেদনে বলা হয়, সিট আদালতে যে ক্লোজার ক্লিন চিট রিপোর্ট দিয়েছে তা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ‘প্রমাণ যোগ্যতা’ বিবেচনা না করেই হাইকোর্টে খারিজ করে দিয়েছে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।