Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

প্রশ্ন : নিজ গৃহ থেকে বা বাবার সম্পদ থেকে চুরি করা সন্তানের জন্যে জায়েজ আছে কি?
উত্তর : জায়েজ নেই। বাবার অনুমতি ছাড়া তার অর্থ-সম্পদ নিয়ে নেয়া বা চুরি করা সাধারণ চুরির মতোই গোনাহের কাজ। তা ছাড়া এ ধরনের চুরিতে ‘বাবার আবাধ্যতা’ পাওয়া যায় বলে এর পাপ আরো গুরুতর হয়ে থাকে। মা-বাবার অবাধ্যাচারণ শরিয়তের দৃষ্টিতে মারাত্মক কবিরা গোনাহ। আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করার পর দ্বিতীয় মারাত্মক গোনাহ হচ্ছে ‘মা-বাবার অবাধ্যতা’। তবে সন্তানের যেসব আর্থিক তসরুফকে মা-বাবা চুরি বলে গণ্য করেন না এবং এতে কোনোরূপ বিরক্তিবোধ করেন না, সেসব শরিয়তে শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। মা-বাবার প্রচ্ছন্ন অনুমতি বা স্নেহপূর্ণ প্রশ্রয় রয়েছে বলে এর বৈধতা খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর হবে না।
প্রশ্ন : ভাইয়ের চরম দুর্ব্যবহারের ফলে আমার আম্মা ও আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে চাই, এটি কি ইসলামসম্মত হবে? আমার আম্মা ওসিয়ত করে যেতে চান, যেন তার মৃত্যু সংবাদ তার পুত্রকে দেয়া না হয় এবং সে যেন আমার মায়ের কবর জিয়ারত না করে। এ ধরনের ওসিয়ত ইসলামসম্মত কিনা?
উত্তর : যোগাযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করবেন না। সংশোধনের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করা যায়। তবে, আত্মীয়তার বন্ধন অস্বীকার বা ছিন্ন করা মহাপাপ। আপনি ও আপনার আম্মা সর্বোচ্চ ধৈর্য্যরে পরিচয় দিন। যদি কেউ নিজে থেকে সম্পর্ক রাখতে না চায়, তাহলে চেষ্টা করুন যেন সম্পর্কটি থাকে। নিজ থেকে এ কাজটি আপনারা করবেন না। হতভাগা সে, যে এ সম্পর্ক ছিন্ন করে। ছেলে ও মায়ের সমস্যা তাদের নিজেদের সমাধান করতে দিন। এর মধ্যে পুত্রবধূ বা মেয়েদের না আসাই ভালো। কবর জিয়ারত না করা বা মৃত্যুর খবর না দেয়ার কথা মা বলতে পারেন। তবে, এমন ওসিয়ত রক্ষা করা জরুরি নয়। অন্যরা সংবাদ দেবে এবং ছেলে লাশও দেখবে, জানাজাও পড়বে, জিয়ারতও করবে। তবে ছেলের উচিত, যে কোনোভাবে জীবিত অবস্থায়ই মাকে খুশি করা। কেননা, মায়ের অসন্তুষ্টি সন্তানের জন্য দুনিয়া-আখিরাত দু’টোই বরবাদ হওয়ার কারণ হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : দেনমোহরের টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ না করে স্ত্রী স্পর্শ করা কি জায়েজ হবে? না হলে কী করব?
উত্তর : স্ত্রীকে স্পর্শ করার একমাত্র উপায় হলো বিয়ে সম্পন্ন করা। বিয়ে সম্পন্ন করার শর্ত তিনটি। ০১. প্রস্তাব দেওয়া ও কবুল করা; ০২. দেনমোহর দেয়া; ০৩. কমপক্ষে দুইজন সাক্ষী থাকা। এখানে দেনমোহর নগদ ও বাকি দু’ভাবেই দেয়া যায়। যদি নগদ দেয়া সাব্যস্ত হয়, তা হলে দেনমোহর পরিশোধ ছাড়া স্ত্রীকে পাওয়া যাবে না। আর যদি বাকি থাকে অথবা নগদ অংশও পরিশোধের সময় আলোচনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হয়, তা হলে হাতেহাতে দেনমোহর না দিয়েও স্ত্রীর সম্মতিক্রমে তাকে স্পর্শ করা যাবে। সম্মতি মৌখিক, নীরব, সম্মতিসূচক উপস্থিতি ইত্যাদি নানাভাবেই হতে পারে। অবশ্য সম্মানজনকভাবে স্ত্রীকে কিংবা তার প্রতিনিধিকে বিষয়টি অবহিত করে, সময় ও অবকাশ নিয়ে সাক্ষাত করাই বাঞ্ছনীয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ