নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামের জয়ের আবহ নিয়েই সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেটে ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে খেলতে নামছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ থেকে এই ভেন্যুতে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে উইন্ডিজ স্কোয়াড অপরবর্তিত থাকছে বলেই জানিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক, সাবেক কিংবদন্তি ডেসমন্ড হেইন্স।
অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেটে। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বল হাতে লড়াই করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে আরেকবার ভেঙে পড়ে আত্মসমর্পণ করতে হয় তাদের। প্রথম ম্যাচে মোটামুটি বড় ব্যবধানে জিতলেও বাংলাদেশকে যথাযথ সম্মানই দেখাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচক ডেসমন্ড হেইন্স, ‘বাংলাদেশকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগই নেই। তারা দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তাদের বোলিংটা বেশ শৃঙ্খলাপূর্ণ। অ্যান্টিগায় আমাদের জয়টা ছিল দারুণ। বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমরা সেন্ট লুসিয়ায় যাচ্ছি। আমাদের সেন্ট লুসিয়ায় সর্বোচ্চটা দিয়েই যে জিততে হবে, সেটা আমরা জানি। তবে আমাদের দলও শৃঙ্খলাপূর্ণ। এ দলের খেলোয়াড়েরা নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দিয়ে খেলেছে।’
প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের আতঙ্ক ছিলেন কেমার রোচ। ম্যাচে ৭৪ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৫ উইকেট নেন ৫৩ রানে। এখনো পর্যন্ত টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৪৯ উইকেট পাওয়া রোচ এ মুহূর্তে ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলারদের মধ্যে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। আর একটি উইকেট পেলেই তিনি ছাড়িয়ে যাবেন কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিংকে। রোচকে নিয়েও উচ্ছ্বসিত হেইন্স, ‘কেমার তো এরই মধ্যে জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে। সে দারুণভাবেই তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিল। মাঝখানে চোট তাকে সমস্যায় ফেলেছিল। দারুণ পরিশ্রম করে সে ফিরেছে। এখন কেমার আমাদের শীর্ষ উইকেটশিকারি। সে বিশ্বেরও অন্যতম সেরা। আমি তার পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি। যেভাবে সে দলের তরুণ বোলারদের সঙ্গে মেশে, তাদের পথ নির্দেশনা দেয়, সেটা অসামান্য।’
আচমকা ব্যাটিং ধ্বস বরাবরই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ। এমনিতেই ছিল বদলের আভাস। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দীর্ঘ হয়েছে চোটের মিছিলও। বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন আসছে এটা নিশ্চিত। সেলক্ষ্যেই সীমিত ওভারের সফরের দলে থাকলেও হঠাৎই দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে নেওয়া হয় এনামুল হক বিজয়কে। ইয়াসির আলি চৌধুরীর চোটে হুট পড়ে ডাক পড়ে দ্বিতীয় টেস্টের দলেও, তাও অনেকটা কনকাশন ব্যাকআপের চিন্তায়। কিন্তু মুমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্তর যা ফর্ম তাতে সাদা বলের আগেই লাল বলে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে বিজয়ের। খুব নাটকীয় কিছু না হলে সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে মুমিনুল বা শান্ত কোন একজনের বদলে একাদশে থাকবেন বিজয়। তিনি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ৮ বছর আগে, এই সেন্ট লুসিয়াতেই।
৪ টেস্টের ক্যারিয়ারে কেবল ৯.১২ গড়ে ৭৩ রান জানান দিচ্ছে এই সংস্করণে তার আগের বেহাল পরিসংখ্যান। তবে বাদ পড়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে লাল বলে টানা রান করেছেন। ২০১৫ সালের পর থেকে প্রথম শ্রেণিতে ৫০ এর বেশি গড়ে ৫ হাজারের বেশি রান করেছেন বিজয়। সেন্ট লুসিয়ায় অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমকে জানালেন এটাই তার শক্তি আর সাহসের জায়গা, ‘এটাই আমার সাহস, এটাই আমার শক্তি। আমি মনে করি এটা সব সময় আমার জন্য বাড়তি সাহস যোগায়। আমি নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে গেছি এখান থেকে, এই জিনিসগুলো দেখলে আমার বাড়তি বোস্টআপ বলেন বা আত্মবিশ্বাস বলেন আসে এটা। অবশ্য এটা আমার ব্যাক অফ দ্য মাইন্ডে থাকবে যে আমি এতদিন ধরে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছি। সবারই ইচ্ছা থাকে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগনোর। আমিও আশাবাদী এটা কাজে লাগিয়ে অবদান রাখতে পারব।’
সাদা বলের প্রস্তুতির মাঝে হুট করে লাল বলে ডাক পেলেও নিজের প্যাশন আর তীব্র তাড়না দিয়ে সেটা পুষিয়ে নেবেন বলে বিশ্বাস করেন বিজয়, ‘এটা সত্যি আমি সাদা বলে ডাক পেয়েছিলাম, এবং সাদা বলের অনুশীলনই করছিলাম। কিন্তু আমি মাথার ভেতর সব সময় ছিল এবং আগেও বলেছি যে আমি টেস্ট ক্রিকেটটা সব সময় ভালোবাসি। এটা নিয়ে আমার অনেক বেশি প্যাশন কাজ করে। যখন সুযোগ পাব অবশ্যই কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। যেহেতু ৮ বছর পর টেস্টে ডাক পেয়েছি এটা আমার জন্য বড় সুযোগ। এটা আমার সেরা সুযোগ নিজেকে তুলে ধরার যে এটা (টেস্ট) আমি আসলেই পছন্দ করি, ভালোবাসি। অবশ্যই রোমাঞ্চিত। প্রক্রিয়া অনুসরণ করব, যেভাবে এতদিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি। নতুন করে কিছু বদল করতে চাই না।’
বিজয় সুযোগ পেলে তাকে খেলতে হবে টপ অর্ডারে। সামলাতে হতে পারে নতুন বলের ধাক্কা। সেজন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।