Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জহির আব্বাস

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২২, ১২:০২ এএম

নামের পাশে ‘এশিয়ান ব্র্যাডম্যান’ খেতাব। লড়াকু মনোভাবের কারণে নিজের সময়ে অন্যতম সেরাদের কাতারে রাখা হতো তাঁকে। তবে খেলোয়াড়ী জীবন পেরিয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন জহির আব্বাস। অসুস্থ হয়ে লন্ডনের একটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। প্যাডিংটনের সেন্ট মেরি হাসপাতালে তিন দিন আগে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। অক্সিজেন সাপোর্টে থাকার পর জহির আব্বাসকে হাসপাতালে নেওয়ার খবরটি পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে জানিয়েছে তার পরিবার। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানায়, ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে তার।
পাকিস্তানের হয়ে ৭৮ টেস্ট ও ৬২ ওয়ানডে খেলা কিংবদন্তি দুবাই থেকে লন্ডনে যাওয়ার পথে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। লন্ডনে পৌঁছানোর পর কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। এরপর তার নিউমোনিয়াও ধরা পড়ে। এ নিয়ে সূত্রের উদ্ধৃতিও প্রকাশ করেছে জিও নিউজ, ‘তাকে এখন ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে এবং চিকিৎসক সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নিষেধ করেছেন।’ আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া ৭৪ বছর বয়সী জহির আব্বাসের জন্য দোয়া চেয়েছে তার পরিবার। এশিয়ার একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শতাধিক শতক পাওয়া এই কিংবদন্তির দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ। তার টুইট, ‘জহির আব্বাসের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’ খ্যাতিমান ধারাভাষ্যকার ও সম্প্রচারক অ্যালান উইলকিনস টুইট করেন, ‘জহির আব্বাসের জন্য প্রার্থনা করছি। ক্রিকেট ইতিহাসে খুব কম ব্যাটসম্যানই ব্যাটিংকে তার মতো শিল্পে পরিণত করতে পেরেছেন।’
১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন আব্বাস। ৭৮ টেস্টে ১২ সেঞ্চুরি ও ২০ ফিফটিতে তার রান ৫ হাজার ৬২। আর ৬২ ওয়ানডেতে করেন ২ হাজার ৫৭২ রান। তার নামের পাশে ৭ সেঞ্চুরি ও ১৩ ফিফটি।
নিজের প্রজন্মের সবচেয়ে স্টাইলিশ ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন তিনি। একই সঙ্গে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানদের একজনও। উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১০০টির বেশি প্রথম-শ্রেণীর সেঞ্চুরি আছে কেবল তারই। ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৪৭ এর বেশি এবং স্ট্রাইক রেট প্রায় ৮৫। ওই সময়ে যা ছিল প্রায় অতুলনীয়। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে পাকিস্তানকে ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আব্বাস। সব মিলিয়ে ৪৫৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ১০৮ সেঞ্চুরি ও ১৫৮ ফিফটিতে আব্বাসের রান ৩৪ হাজার ৮৪৩। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৩২৩ ম্যাচ খেলে তার রান ১১ হাজার ২৪০। সেঞ্চুরি ১৯টি ও ফিফটি ৭২টি।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করেন আব্বাস। আইসিসির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০২০ সালে জ্যাক ক্যালিস ও লিসা স্টালেকারের সঙ্গে আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা করে নেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জহির আব্বাস
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ