নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিততে হলে শ্রীলঙ্কার ভাঙতে হতো রেকর্ড। পাথুম নিশাঙ্কা লঙ্কানদের সেই কঠিন লক্ষ্যকে বানিয়ে দিলেন একদম মামুলি। এই ওপেনারের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ৬ উইকেটে জিতেছে লঙ্কানরা। গতপরশু রাতে প্রেমাদাসায় আস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৯১ রানের লক্ষ্য ৯ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। অজিদের বিপক্ষে পরপর দুই জয়ে সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেল দাসুন সানাকার দল।
লঙ্কানদের এই ম্যাচের আগে আস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়টি এসেছিল ২০১২ সালে। সেই ম্যাচে ২৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে জয় পায় তারা। তাই রবিবার ২৯২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে রেকর্ডই গড়া লাগত শ্রীলঙ্কার। নিরোশান ডিকভেলা ও নিশাঙ্কার পার্টানরশিপে আসে ৪২ রান। ডিকভেলা ২৫ করে ফিরলে, নিশানকার সাথে এরপর জুটি বেঁধে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন কুশাল মেন্ডিস। এই ডান হাতি ব্যাটার খেলেন ৮৫ বলে ৮ চারে সাজানো ৮৭ রানের দারুণ এক কার্যকরী ইনিংস। পঞ্চাশের দেখা পান ৩৯ বলে। পেশির টানে মাঠ ছাড়ার আগে নিশানকাকে নিয়ে গড়েন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ ১৭০ রানের জুটি।
এরপরে খেলতে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা হ্যাজেলউডে কট এন্ড বোল্ড হবার আগে ১৭ বলে খেলেন ২৫ রানের ধামাকা। অন্য প্রান্তে সদা চলমান নিশানকার শতক আসে ১২৩ বলে আর এরপরের ২৪ বলে করেন ঝড়ো ৩৭ রান। ১৩৭ রানের পথে হাঁকিয়েছেন ১১টি চার ও দুইটি ছক্কা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই সংস্করণে এটাই শ্রীলঙ্কার ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ। এর আগের সর্বোচ্চটি ছিল ১২২ রানের। সনাৎ জয়সুরিয়া রেকর্ডটি অক্ষত ছিল দীর্ঘ ১৯ বছর। জাই রিচার্ডসন যখন একই ওভারে সেঞ্চুরিয়ান ও অধিনায়ক সানাকাকে ফেরান তখন জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ১৪ বলে ৭ রান। চারিতা আসালাঙ্কা উনপঞ্চাশতম ওভারেই স্বাগতিকদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
এরআগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই হারায় ডেভিড ওয়ার্নারকে। তিন নম্বরে খেলতে নামা মিচেল মার্শের ইনিংসও ১০’র বেশি বাড়েনি বাহাতি স্পিনার ওয়াল্লালাগের ফাঁদে পড়ে। তারপরই অ্যারন ফিঞ্চ ও লাবুশেনে জুটি বাঁধে। লাবুশেনে ২৯ করে জেফ্রি ভ্যান্ডারস্যানের বলে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৯ রান আসে তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে। দুই ওভার পর আবারও এই লেগ স্পিনারের বলে ৬২ রান করা ফিঞ্চ যখন আউট হন তখন দলীয় সংগ্রহ ২৬.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১২১। সেই পর্যায় থেকে অ্যালেক্স ক্যারি, ট্রোভস হেড ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ঝড়ো ব্যটিংয়ে ২৯১ রানের লড়াকু পুঁজি আসে অজিদের। শেষ ১০ ওভারে ৯৮ রান তুলে তারা। হেডের ৬৫ বলে ৭০ রানের ইনিংসটি ছিল ৩টি ছয় ও ৩টি ছকায় সাজানো। ২-১ এ পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া আজ এই প্রেমাদাসাতেই চতুর্থ ওয়ানডেতে নামবে সিরিজে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।