রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
শীর্ষ কৃষিপ্রধান জনপদ মিরসরাই উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও ২ পৌর ফসলের মাঠে এখন ঝিলিক মারছে সোনালি ধান। কোথাও কোথাও আংশিক আধাপাকা থাকলেও প্রায় মাঠেই এখন ধান পেকে সোনালি রূপ ধারণ করেছে। কোথাও আবার কিছু কিছু আগাম ধান কাটতে শুরু করেছে কৃষক। শিগগিরই উপজেলার সব মাঠেই ধান কাটা-মড়াইয়ের ধুম পড়ে যাবে। এবার কিছুদিন পূর্বের ঝড়ো হাওয়ায় ফসলের মাঠে বিপর্যয়ের শঙ্কা থাকলেও বিপর্যয় কাটিয়ে আমনের ভালো ফলন অটুট থাকায় কৃষক-কৃষাণদের মুখের হাসি অবশেষে ম্লান হয়নি এবার। তবে এখন ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা। চলতি মৌসুমে আশানুরূপ বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কয়েক বছরের ব্যবধানে এবার রোপা আমন নিয়ে শঙ্কায় ছিল কৃষকরা। তবে শেষের দিকে কয়েকদফা বৃষ্টিপাত ও সবশেষে ঝড়োহাওয়া আর বৃষ্টি মিলিয়ে আশা নিরাশার দোলায় সকল বৈরিতা কাটিয়ে অনেকটা বাম্পারই বলা যায় আমনের ফলন। কৃষকরা কিছুটা ক্ষতির কথা জানালেও এমটিই জানালেন মিরসরাই উপজেলা কৃষি বিভাগ। আবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উচু নিচু সব জায়গাতেই প্রায় ধান চাষ করা হয়েছে। উপজেলার দুর্গাপুর, কাটাছরা, ওয়াহেদপুর, হিঙ্গুলী, ওচমানপুর, ইছাখালী, হাইতকান্দি, সাহেরখালী, করেরহাট, মিঠানালা, মঘাদিয়া ইউনিয়নে প্রতি বছরই কিছু না কিছু আমন ধান বিনষ্ট হতো। তবে সেই অনুপাতে এবার বিপর্যয় অনেকটাই কম বলে জানান উপজেলার দক্ষিণ তালবাড়িয়ার কৃষক নুর হোসেন। মিরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার নুরুল আলম জানান এবার ব্রি-জাত ৫২ ধান বেশি রোপণ করায় ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কমে এসেছে। নিচু এলাকাতে এই ব্রি-৫২ জাতের ধান কৃষকরা চাষ উত্তম। এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এবার ৭ হাজার ৬শ’ হেক্টর রোপা আমনে লক্ষ্যমাত্রা অটুট আছে বলে তিনি জানান। তবে এখন কৃষকরা উদগ্রীব ধানের মূল্য নিয়ে। সব কাটিয়ে ভালো ফলন হলেও ধান কাটা-মাড়ার শুরুর মুখেই ধানের বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় এলাকার কৃষকেরা অনেকটা হতাশাবোধ করছেন। প্রায় শতাধিক মধ্যবিত্ত কৃষকেরা জানান, রোপা আমন ধানের উপর নির্ভর করে মৌসুমি সবজি রোপণসহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষাবাদ করার লক্ষ্য রয়েছে। ধানের বাজারমূল্য পড়ে গেলে মধ্যবিত্ত কৃষকদের এ লক্ষ্য পূরণ হবে না। কৃষকেরা সরকারের কাছে ধানের নায্যমূল্য দাবি করেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও রোপা আমন ধান চাষাবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। তিনি বলেন, আমাদের দেশের স্বনির্ভরতার সবচেয়ে বড় অর্জন এই ধান। তাই ধান চাষাবাদে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। তবেই কৃষকের সোনালি হাসির পাশাপাশি সকলের সোনালি হাসি অটুট থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।