Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানেরা বঞ্চিত ও দরিদ্র

প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গের অন্য সম্প্রদায়ের তুলনায় বাঙালি মুসলমরা কত বঞ্চিত তা এখন বোঝা সম্ভব হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এসোসিয়েশন স্ন্যাপ, গাইডেন্স গিল্ড এবং প্রতীচী ইনস্টিটিউটের তৈরি ‘পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের জীবনের বাস্তবতা : একটি প্রতিবেদন’ গত রোববার গোর্কি সদন প্রকাশ করে অমর্ত্যবাবুর নিজের লিখিত বক্তব্য। সেই লেখাতেই ওই মন্তব্য করেছেন তিনি। তার ভাষায় পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানরা যেমন বঞ্চিত তেমনি তারা দরিদ্র যা সংখ্যালঘু উন্নয়ন সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির উল্টো সুর বলেই মনে করছেন অনেকে। সাচার কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানায় মুসলমানদের দুর্দশা নিয়ে যথেষ্ট হইচই হয়। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই মমতা মুসলমান ভোটকে নিজের পক্ষে নিয়েছেন এবং ক্ষমতায় আসেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তিনি দাবি করে আসছেন, তার জমানায় মুসলমানদের বিরাট উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু এ দিন স্ন্যাপ, গিল্ড এবং প্রতীচীর তৈরি যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে অমর্ত্যবাবু লিখেছেন, বাঙালি মুসলমানদের যে কতটা বঞ্চনা সহ্য করতে হয় তা কেবল বহু মাত্রিক পাঠের মাধ্যমেই বোঝা যায়। অর্থনীতিবিদের মতে, সাচার কমিটির রিপোর্ট পরোক্ষ সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছিল কিন্তু এই রিপোর্টটির ভিত্তি প্রত্যক্ষভাবে পাওয়া তথ্য।
অমর্ত্যবাবুর বক্তব্য, ওই রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষদের সিংহভাগই মুসলমান। জীবন মানের নিরিখে তারা অসমঞ্জস ভাবে দরিদ্র এবং বঞ্চিততর। আর্থিকভাবে বা ধর্মীয় ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা উচ্চ শ্রেণিতে থাকতে পারেন, তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলে ভূমিহীন, শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে পড়া এবং গরিব মুসলমানদের বিশেষ উপকার হবে না বলেও অমর্ত্যবাবু জানিয়েছেন। অমর্ত্যবাবুর আরও বক্তব্য, অতীতের প্রেক্ষিতে বর্তমানের বঞ্চনাকে বোঝার ক্ষেত্রে একটি অঞ্চলের ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চিত মুসলমানদের বর্তমান অবস্থা জমি সম্পর্ক, সামাজিক বাধা, ব্যবসার সুযোগ, সরকারি সাহায্যের ব্যাপ্তি ও সীমা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। অতীতের আলোয় বর্তমানকে বুঝতে হলে ইতিহাসে ভাল দখল থাকা প্রয়োজন।ওই রিপোর্ট এবং অমর্ত্যবাবুর বক্তব্য সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু বিত্ত উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সুলতান আহমদের প্রতিক্রিয়া, ওই সংস্থাগুলির রিপোর্ট আমরা দেখিনি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিঠি লিখে তাদের কাছে ওই রিপোর্টের কপি চাইব। কীসের ভিত্তিতে, কী ভাবে, কেমন সমীক্ষা করেছেন দেখব। আর আমাদের সরকার কী কী কাজ সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য করেছে, তার একটা রিপোর্ট অমর্ত্যবাবুর কাছে পাঠিয়ে দেব।
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য হলো, বামফ্রন্ট সরকার কখনওই বলেনি, ৩৪ বছরে আমরা সব কাজ করে ফেলেছিলাম। কিছু কাজ করেছিলাম। অনেক কাজ বাকিও ছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল, সার্বিক ভাবে উন্নয়ন। এবিপি, ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানেরা বঞ্চিত ও দরিদ্র
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ