নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সবচেয়ে বেশি পাঁচবার বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড ব্রাজিলের দখলে হলেও বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায় গত কয়েক মৌসুমে তেমন কিছু করতে পারেনি তারা। ২০০২ সালের পর আর বিশ্বকাপ ফুটবলের শিরোপা ছুঁয়ে দেখা হয়নি ব্রাজিলের। দলটির সবশেষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কেটে গেছে দুই দশক। আট বছর আগে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত আসরে তারা পৌঁছেছিল সেমিফাইনাল অবধি। আসছে কাতার বিশ্বকাপে হতাশার এই পথচলা শেষ হবে বলে বিশ্বাস দেশটির সাবেক তারকা ডিফেন্ডার রবের্তো কার্লোসের। ব্রাজিলিয়ান গ্রেট এই লেফট-ব্যাকের মতে, তাদের সামনে এবারই বিশ্বকাপ জেতার সবচেয়ে ভালো সুযোগ।
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। ওই দলের গর্বিত সদস্য ছিলেন লেফট-ব্যাক কার্লোস। এরপর থেকে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের শিরোপা অধরা রয়ে গেছে রেকর্ড পাঁচবারের শিরোপাধারীদের। সবশেষ চার আসরের তিনটিতে তাদের পথচলা থামে কোয়ার্টার ফাইনালে। ২০১৪ সালে স্বাগতিক থাকলেও তারা হয়েছিল চতুর্থ। এবার দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে শীর্ষস্থান দখল করে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে ব্রাজিল। কোচ তিতের শিষ্যরা হারেনি একটি ম্যাচও। গত বছর অবশ্য নিজেদের মাটিতে কোপা আমেরিকার শিরোপা তারা খোয়ায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে হেরে। তবে দলের নামটা যেহেতু ব্রাজিল, সেহেতু তারা অবধারিতভাবেই বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল।
গত বছর দেশের মাটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ফাইনালে হেরে কোপা আমেরিকার শিরোপা হারালেও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ভালোভাবেই দল গুছিয়ে নিচ্ছেন তিতে। অভিজ্ঞ এই কোচের হাত ধরে সব বিভাগেই শক্তিশালী ব্রাজিল নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বিশ্বকাপের শীর্ষ ফেভারিট দলগুলোর একটি হিসেবে। সবশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জেতা দলটির সমর্থকরা স্বপ্ন বুনছেন, আবার তাদের বিশ্বসেরা হওয়ার আনন্দে ভাসাবেন নেইমার-ভিনিসিউসরা।
আশায় বুক বেঁধেছেন কার্লোসও। সম্প্রতি একটি ইভেন্টের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকা বলেন, ব্রাজিলের এই দলটির মাঝে বিশ্বকাপ জেতার সব উপাদান আছে, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ব্রাজিলের একটি দুর্দান্ত দল রয়েছে। এটাই (বিশ্বকাপ) জয়ের সময়, কারণ আমাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সবশেষ ছবিটি ২০০২ সালের। আমি খুব আশাবাদী। বিশ্বকাপ জেতা সহজ নয়। সাম্প্রতিক সময়েও ব্রাজিল দলটি যথারীতি দুর্দান্ত সব ম্যাচ খেলছে। কিন্তু তারা কখনও খুব ভালো খেলেনি। কোপা আমেরিকাও গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু ব্রাজিলিয়ানদের জন্য এই বিশ্বকাপ খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। বিশ্বকাপের স্বাদটা বিশেষ। জাতীয় দলের হয়ে খেলা ও জেতার অনুভূতি অসাধারণ।’
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল ছাড়াও ফেভারিটদের তালিকায় আছে রেকর্ড ৩৩ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকা আর্জেন্টিনা। এছাড়া সবসময়ের মতো ইউরোপ থেকে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি ও ইংল্যান্ডকেও ধরা হচ্ছে শিরোপার দাবিদার হিসেবে। ইতিহাসের সেরা লেফট-ব্যাকদের একজন হিসেবে বিবেচিত কার্লোস মনে করেন, নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারলে শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতবে ব্রাজিলই, ‘অন্তত ইউরোপের সংবাদমাধ্যম ব্রাজিলকে ফেভারিটদের একটি হিসেবে দেখছে। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই বিষয়ে সম্প্রতি (স্পেন কোচ) লুইস এনরিকেও মন্তব্য করেছেন। অন্য কোনো জাতীয় দলের কোচকে জিজ্ঞাসা করলে তারাও বলবে, ব্রাজিল এই বিশ্বকাপের চার ফেভারিটের মধ্যে একটি দল। ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলে ব্রাজিল আবার বিশ্বকাপ জিতবে।’
আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে ‘জি’ গ্রুপে খেলবে ব্রাজিল। তাদের তিন প্রতিপক্ষ হলো সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া ও ক্যামেরুন। গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও সুইস ও সার্বিয়ানদের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। বড় কোনো অঘটন না ঘটলে তাদের নকআউট পর্বে জায়গা করে নেওয়া একরকম নিশ্চিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।