মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোনো ধরণের দাবি মানা হয়নি। কার্যকর কোন সিদ্ধান্তও আসেনি। এক প্রকার নিষ্ফল আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই শেষ হলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রিপর্যায়ের ১২তম সম্মেলন। বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলো ঘরে ফিরছে অনেকটা শূন্য হাতেই। যদিও সম্মেলনের সময় বাড়িয়ে সদস্যদের ক্ষোভ সামাল দেয়ার ব্যর্থ এক চেষ্টাও করেছিল ডব্লিউটিও। লাভ হয়নি তাতে, বরং জেনেভায় আবারও প্রশ্নের মুখে পড়েছে সংস্থাটির ভবিষ্যৎ। অথচ সম্মেলনে বড় দেশগুলোর স্বার্থের খেলা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন ডব্লিউটিও মহাপরিচালক এনগোজি আইওয়ালা। তার আশাছিল, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার বদলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা হবে দেন-দরবারের প্ল্যাটফর্ম। এমনকি এবারের বৈঠক সফল হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে এনগোজি বলেছিলেন, সদস্য দেশের ঐক্যমত্যে এবার একাধিক বড় সিদ্ধান্ত আসছে। কিন্তু তা হলো না। আগের মতো নিষ্ফলই থাকলো এ সম্মেলন।
একদিকে করোনার ধাক্কা। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দুইয়ে মিলে বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটা বিপর্যস্ত। চরম সঙ্কটের সময় বিশ্ব বাণিজ্যের উঠানে স্বস্তি ফিরবে ডব্লিউটিওর সম্মেলন থেকে, এমন আশা নিয়েই জেনেভায় এসেছিলেন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রীরা। বাংলাদেশসহ ১৭টি দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে যাচ্ছে। এ সম্মেলন থেকে এসব দেশের বড় চাওয়া বড় দেশগুলো থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বিদ্যমান সুবিধাগুলো আরো কয়েক বছর বহাল রাখা। বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা এ সংক্রান্ত মতামত তুলে ধরেন।
কিন্তু বড় কোনো ঘোষণা কিংবা সিদ্ধান্ত ছাড়াই জেনেভায় পর্দা নামল সম্মেলনের। পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে সর্বশেষ দু’দিন সম্মেলনের প্রেস কনফারেন্স কয়েক দফা পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত বাতিলই করে ডব্লিউটিও। এতে চরম হতাশ স্বল্পোন্নত দেশগুলো। বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর ইচ্ছা-অনিচ্ছাতেই এবারের সম্মেলন বন্দি ছিল, এমনটাই অভিযোগ সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের।
ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়ার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ইস্যুতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আর বড় দেশগুলো একমত হতে না পারায় সিদ্ধান্ত শূন্য জেনেভা সম্মেলন। একরাশ হতাশা নিয়েই সুইজারল্যান্ড ছেড়েছে বহু দেশ।
এবারের সম্মেলনে প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল গভীর সমুদ্রে অবাধে মৎস্য শিকারে ভর্তুকি বন্ধ করা। কৃষিতে ভর্তুকি কমানো, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাণিজ্য সুবিধা বহাল রাখা। যদিও পূরণ হয়নি একটিও।
অধিকাংশ সদস্য দেশ বলছে, ডব্লিউটিও সব সময় উন্নত বিশ্বের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে। অন্য দিকে এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য বিষয়ক স্বার্থকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয় না। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।