Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

জীবনের শেষ সময়টা পাকিস্তানেই কাটাতে চাইলেন পারভেজ মুশারফ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২২, ১:৫২ পিএম

বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি অসুস্থ। দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে তিন সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পরে চলতি সপ্তাহে ছাড়া পেয়েছেন। গত সপ্তাহে তার মৃত্যুর ভুয়া খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল নেটমাধ্যমে! প্রাক্তন সেই পাক সেনাশাসক পারভেজ মুশারফ নাকি এ বার দেশে ফিরতে ব্যাকুল। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবনের শেষ দিনগুলি পাকিস্তানে কাটানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

মুশারফ ২০১৬ সাল থেকে দুবাইয়ে স্বেচ্ছানির্বাসিত। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর দেশদ্রোহের অভিযোগে পাক সন্ত্রাসদমন আদালত তাঁকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল। ২০০৭ সালে সংবিধান বাতিল করে সাংবিধানিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য তিন সদস্যের বেঞ্চ তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। ২০১৪ সালে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চার্জ গঠন হয়েছিল। যদিও সাক্ষাৎকারে মুশারফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানে থাকা তার বন্ধুরা এবং ‘প্রভাবশালী মহল’ তাকে দেশে ফেরাতে সক্রিয়।

১৯৯৯ সালের অক্টোবরে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন সেনাপ্রধান মুশারফ। প্রবল গণআন্দোলন এবং পাক সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের জেরে ২০০৮-এর ১৮ অগস্ট প্রেসিডেন্ট পদ থেকেও ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি।

২০১৩-এ নির্বাচন লড়তে দেশে ফিরলেও দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার হন মুশারফ। নিজের ফার্মহাউসেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় তাকে। চিকিৎসার জন্য ২০১৬ সালে তাকে দুবাই যাওয়ার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সে বছর মার্চ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন তিনি। সূত্র: টাইমস নাউ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ