Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারের পতনের পর ইসি নিয়ে ভাববে বিএনপি

সাংবাদিকদের গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে এরপর নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি ভাববে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সরকার জোর করে ক্ষমতা দল করে আছে। তাদের গদিচুত্য করা আমাদের প্রধানকাজ। আর যেদিনই এই দখলদারকে মুক্ত করতো পারবো, সেইদিনই নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলবো।

গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা বিএনপি নেতা গৌতম চক্রবর্তীর স্মরণসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই স্মরণসভায় সংগঠনের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় কৃষক দলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্য চলাকালে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে চিরকুট পাঠিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকরা দুটি বিষয় জানতে চান। এক হচ্ছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিধি অনুযায়ী কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিনকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছিল। তার পরও তিনি এলাকায় অবস্থান করেন। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে এই মুহুর্তে আমাদের ভাবনা নেই। আমরা যেদিন দখলদার সরকারের হাত থেকে দেশকে দখলমুক্ত করতে পারব, সেদিনই নির্বাচন কমিশনের পারা না পারা নিয়ে কথা বলব।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা যা বলেছেন, তাতে করে গণতন্ত্রের মাতা ভালো নেই। দেশবাসীর মতো আমরাও প্রত্যাশা করি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী যেন সীমিত চিকিৎসার মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
তিনি আরও বলেন, যেখানে আমরা আমাদের নেত্রীকে দুই নয়ন দেখতে পারি না, অথবা তার আশপাশের বারান্দায় দাঁড়িয়েও একটু কষ্ট লাগব করার সুযোগ পাই না। সেখানে পত্রপত্রিকায় তার চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসকের মাধ্যমে যে কতটুকু আসে, এরচেয়ে বেশি জানার সুযোগ আমার নেই।

গৌতম চক্রবর্তীর জীবনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন দিয়ে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ বাংলাদেশের মানুষের একটি পরিচয় দিয়েছিলেন। আজ সেই দর্শনে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পতাকা তলে একত্রিত হয়েছে।

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে গয়েশ্বরের সম্পর্কের মাপকাঠি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপির জন্মের আগে থেকে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আমি বিএনপির জন্মের আগে বিএনপি করি। সেই সময়ে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জাগিয়ে তুলেছিল। জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তার পথ ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে স্বৈরাচারমুক্ত করে দেশকে আবার গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। আশা করি, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং ভোটাধিকার ফিরে আসবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ