বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কবিরহাট উপজেলায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ সমাবেশে হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির ১৫জন নেতাকর্মি আহত হয় বলে দাবি করছে উপজেলা বিএনপি।
সোমবার বিকেল উপজেলার কবিরহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে কবিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কবিরহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন অভিযোগ করে বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কবিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মিরা। এ সময় পুলিশি বাধার মুখে কিছুক্ষণ মিছিল করে কবিরহাট বাজারের পূর্ব পাশে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এরপর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. কামাল হোসেনের বাড়িতে মিছিল সহকারে কবিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিয়াদ,সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ও কবিরহাট কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহছান বিন আজাদ ফয়সালের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ৬০টি চেয়ার একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। একই সময়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মিরা সমাবেশস্থল সহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য বেলায়েত হোসেন,কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান,বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম হায়াত শাকের সহ আমাদের ১০-১৫জন নেতাকর্মিকে পিটিয়ে আহত করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কবিরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিয়াদ বলেন,এ অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মি এ হামলার সঙ্গে জড়িত নেই। বিএনপির নেতাকর্মিরা ভয় পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২-১জন পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মিদের ওপর হামলার বিষয়টি সঠিক নয়। তবে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামালের বাড়িতে গিয়ে কয়েকটি প্লাস্টিকের চেয়ার ভাংচুর করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।