চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ভারতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়শা রাদিআল্লাহু আনহার শানে কটূক্তির প্রতিবাদে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দান প্রস্তাব আনা এবং ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা শামসুল হক ছদর ছাহেব (রহ.) এর পৌত্র মুফতি উসামা আমিন। আজ রোববার গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ভারতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়শা রাদিআল্লাহু আনহার শানে কটূক্তির প্রতিবাদে গওহরডাঙ্গা মাদরাসা আয়োজিত এক মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
মুফতি উসামা আমিন সভাপতির বক্তব্যে আরো বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে টিপ নিয়ে কথা হয়; কিন্তু বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়শা রাদিআল্লাহু আনহার শানে কটূক্তি করা হয় কেউ কথা বলেন না; বিষয় টা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করব সরকার চলতি অধিবেশনেই এ ব্যাপারে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করবে। অন্যথায় দেশব্যাপী যে আন্দোলন চলছে তা আরো তীব্র থেকে তীব্র হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতি উসামা আমিন বলেন, আল্লাহ তায়ালা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মান আল্লাহ সুউচ্চ করেছেন, পৃথিবীর সমস্ত মুসলমান নিজের জীবন থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বেশী ভালবাসে। হযরত সাহাবায়ে কেরাম তাঁদের জীবনের বিনিময়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভালোবাসার নজরানা, দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। পরবর্তী উম্মতও সেই নজরানার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ। মুফতি উসামা আমীন বলেন, ভারতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ পৃথিবী জুড়ে যে আন্দোলন চলছে ভবিষ্যতেও যদি কেউ কোথাও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা তাঁর পরিবার নিয়ে কোন ধরণের অশালীন মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখায় তাহলেও পৃথিবী জুড়ে মুসলমান আন্দোলনে নেমে আসবে।
মুফতি উসামা আমিন তার বক্তব্যে আরো বলেন, ভারতে বিজিপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও দিল্লি শাখার গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দাল হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার শানে অশালিন বক্তব্য দিয়ে পৃথিবীর প্রায় দুইশ কোটি মুসলমানদের ব্যথিত করেছে। পৃথিবীর জুড়ে তাদের শাস্তির দাবিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমান শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে। তাঁরা যে অপরাধ করেছে তা ক্ষমা অযোগ্য, হাদিসের ভাষ্যমতে মৃত্যু দন্ডই তাদের একমাত্র শাস্তি। সুতরাং অনতিবিলম্বে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
মুফতি উসামা আমিন বলেন, কোটালীপাড়াতেও একব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে চরম বেয়াদবি মূলক কথা বলেছে। গোপালগঞ্জের প্রশাসন যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় না আনে তবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিয়ে কঠিন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে। মানববন্ধনে বক্তাগণ বাংলাদেশের জনগণকে ভারতের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।
মুফতি মাকসূদুল হক ও মুফতি মোহাম্মদ তাসনীমের পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ফরিদ আহমাদ, মুফতী নূরুল ইসলাম সাহেব, মাওলানা শামছুল হক, মুফতি হুজাইফা আমীন, মাওলানা ঝিনাত আলী, মাওলানা নাসির আহমাদ, মাওলানা ফখরুল আলম, মুফতি মুহিব্বুল হক, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা জাকির বিন জয়নুল আবেদীন।
নদওয়াতুল ওলাম আল-আলামিয়া সউদী আরব ঃ নদওয়াতুল ওলাম আল-আলামিয়া সউদী আরবের চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ রফিকুল ইসলাম মাদানী ও ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা এম এম আজহার মাদানীএকযুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ভারতের বর্তমান উগ্র হিন্দুবাদী সরকারের দলীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা রাসুল ( সা.) কে নিয়ে যে অশালিন মন্তব্য করেছে তার জন্য তাকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করে ভারত সরকারকে বিশ্বের মুসলমানদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তারা আরো বলেন, এই বিজিপি সরকার গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নিজ দেশের মুসলমানদেরকে নির্যাতনসহ উত্তেজিত করার জন্য উস্কানিমূলক কর্মকা- করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ের স্পন্দন মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। কাজেই এখনি সময় এসেছে ওদেরকে রুখে দেয়ার। তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে মুসলিম প্রধান দেশ হিসাবে ঈমানী দায়ীত্ববোধ থেকে চলমান সংসদ অধিবেশনেই ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পাস করার দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।