পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কখনো কারও কাছে মাথা নত করিনি, প্রাণ ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে কারও কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না। গতকাল শনিবার ‘শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শুভেচ্ছা জানানোর পরে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলে চলতে হয়েছে। যতবার গ্রেফতার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চিঠি দিয়েছি, দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে তাদের নিদের্শনা দিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তৎকালীন তত্ত্ববধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে বাধ্য হয় আমাকে মুক্তি দিতে। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবাক হয় যে, ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়, এটাই আওয়ামী লীগ। জনগণই হলো আমাদের শক্তি। ১৯৮১ সাল থেকে দলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা সবসময় ঠিক থাকে। এটা বাবার সময়ও দেখেছি।
কারাবন্দী থাকার সময় দেশ নিয়ে পরিকল্পনার করার কথা জানিয়ে গত তিন বারের সরকার প্রধান বলেন, জেলে বসে দেশ কীভাবে চালাব। দল কীভাবে চালাব, সেসব লিখে রেখেছিলাম। কীভাবে উন্নয়ন করব সেসব পরিকল্পনা লিখে রাখি।
অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার প্রত্যয় পুর্নব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নানা সময়েই গ্রেফতার হতে হয়েছে। তবে কারও কাছে কোনদিন মাথানত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার ও বাবার কাছ থেকে এটা শিখছি যে, কারও কাছে বা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করব না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন সরকারে। জনমানুষের কল্যাণ আমরা বুঝি, সেটাই করে যাচ্ছি। আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মানুষ শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে সঠিকভাবে। আমরা একটা বাজেট দিয়েছি। উন্নত দেশে জিডিপি মাইনাসে। অথচ আমরা ৫ ভাগের উপরে রেখেছি। আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটাকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন। এ স্বাধীনতা বৃথা যেতে পারে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করে যাব। যে যাই বলুক আমরা আমাদের কাজ করে যাব। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পর্যন্ত যেন সুফল পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করেছি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। প্রথমে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। পরে একে একে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে শুভেচ্ছা জানান ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র, উত্তর সিটি মেয়র, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ এবং গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।