পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদগুলোর সামনেসহ স্থানীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমবেত হয়ে এর প্রতিবাদ জানান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
এসব সমাবেশে বক্তরা ভারতীয় পণ্য বর্জনসহ নবীজীকে অবমাননা করে বক্তব্যদানকারী বিজেপি নেতাদের শাস্তি এবং বিষয়টি জাতীয় সংসদে উত্থাপনের দাবি জানান।
আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, শুক্রবার বাদ জুমা আশুলিয়ার বিভিন্ন মসজিদ থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে নেমে আসেন মুসল্লিরা। এ সময় তারা বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়ে সমাবেশ করেন।
জুমার নামাজ শেষ করেই আশুলিয়ার বাইপাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক হয়ে বাইপাইলে অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় একে একে বাইপাইল পশ্চিমপাড়া, গাজীরচট, ভাদাইল, কাইচাবাড়ি, বাইপাইল দরগা মসজিদ, গাজীরচট ফকিরবাড়ি মসজিদ,বায়তুন নূর জামে মসজিদ, শ্রীপুর, তালপট্টি, বলিভদ্র বাজার মসজিদসহ আশপাশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে হাজার হাজার মুসল্লি খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
ধামরাই (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর ধামরাইয়ে সর্বস্তরের উলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা মিলিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলার চত্বর মঞ্চে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়ে ভারতের পণ্য বর্জন করতে হবে বলেও জানান তারা।
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাস স্টেশনের সাভার সিটি সেন্টারের সামনে মহাসড়কের দু’পাশ বন্ধ করে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ কারেন উলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন রাসূলপ্রেমী হাজারো মুসল্লি।
ইসলামপুর (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, শুক্রবার বাদ জুমা শহরের ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মিলিত উলামা ও মুসল্লিদের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা জানান, জুমার নামাজ শেষে উপজেলা ইমাম, উলামা পরিষদ ও সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্যোগে উপজেলার বাহিরগোলা জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাহিরগোলা মসজিদ চত্বরের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানান, জুমার নামাজ শেষে পৌর শহরের কাঁটাবাড়ী জামে মসজিদ, নয়াপাড়া জামে মসজিদ, বাইতুন নূর জামে মসজিদের মুসল্লিরা ফেষ্টুন হাতে বাংলা স্কুল মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌর শহরের নিমতলা মোড়, বাস স্টেশন হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কাঁটাবাড়ীতে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয় মুসুল্লিরা বক্তব্য রাখেন।
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মুসল্লিরা বাদ জুমা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে সমবেত হন। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ করে। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মুহুর্মুহু ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সখীপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, মহানবী হজরত মোহাম্মদ সা:-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে সখীপুর মোখতার ফোয়ারা চত্বরে কওমী ওলামা পরিষদের আয়োজনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, ধর্মপাশা উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত তরিকত ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে জুমার পর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ থেকে বিভিন্ন সংগঠনের হাজার হাজার মুসল্লি কটূক্তিকারী নূপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা জানান, জুমার নামাজ শেষে পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের ইন্দুরকানী বাজারে এসে বিক্ষোভ করেন বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত মুসল্লিরা।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা তাদের হাতে জুতা তুলে নেন। এ সময় ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিতে থাকেন। মিছিলটি ইন্দুরকানী বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রূপালী ব্যাংক চত্বরে একটি পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।