পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে জিতবে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু যায় আসে না। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি নির্বাচন চায় যেখানে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতা নির্বাচিত করতে পারবে। এর প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিুল আউয়াল বলেন, অন্যান্য নির্বাচন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হবে। সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য আংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হ্যাস সিইসির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, পুরো নির্বাচন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, সরকার, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম এবং জনগণেরও ভূমিকা রয়েছে। নির্বাচন আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরামর্শ ছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই নয়। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই। এটি নির্বাচন কমিশন এবং পুরো বাংলাদেশিদের, এটা আমাদের বিষয় নয়।
কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি এখানে এসেছি তিন মাস হলো। এর আগে আমি দু-তিন জায়গায় দেখা করেছি। তার অংশ হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করেছি। বাংলাদেশে কী হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এর অংশীদার হতে পারে তা বোঝার চেষ্টা করছি।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমত উনাদের (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) কোনো বার্তা নেই। এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। তিনি আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন নতুন সিইসি হিসেবে। সব ক্ষেত্রে সাফল্য কামনা করেছেন আমার। এছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তার সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে করবেন।
নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আসলে উনি তেমন কিছু আলোচনা করেননি। বলেছেন, আমি কেমন কেমন ফিল করছি। আমি বলেছি আমেরিকার মতো আমাদের নির্বাচন অতো স্মুথ (মসৃণ) নয়। একটু টার্বুলেন্স (হাঙ্গামা) হয়। ওইদিক থেকে আমরা প্রস্তুত। আশা করি সরকারি সব সংস্থা থেকে সহযোগিতা পাবো এবং নির্বাচনটা সফল হবে। সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করবো। ফেয়ার করার চেষ্টা করবো নির্বাচন। সম্ভব হলে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়া হবে। এতে নজরদারি সহজ হবে। সরকারও আশা করি সাহায্য করবে। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে একটা ভালো নির্বাচন করার চেষ্টা করবো। এ ছাড়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।