পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোরে অল্পের জন্য রক্ষা পেলো তিন শিশুর জীবন। মাছ ধরার সময় পানির স্রোতে পৌরসভার ঢাকনাযুক্ত ড্রেনে ভেসে যায় নিয়োগ নামের এক শিশু। তাকে উদ্ধার করতে ড্রেনে নামে নয়ন ও হৃদয়। কিন্তু ড্রেনের মধ্যে অন্ধকার থাকায় দিক হারিয়ে ফেলে তারা। এক পর্যায়ে ড্রেনের ভেন্টিলেটর থেকে চিৎকার করে নিয়োগ। তার আওয়াজ শুনে পথচারীরা মোবাইল ফোনে যশোর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে সংবাদ দিলে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় দেড় ঘন্টা অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন তারা।
গত মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে যশোর শহরের মুজিব সড়কের তেতুলতলা মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। উদ্ধারকৃত শিশুদের মধ্যে একজনের শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিন শিশুকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
উদ্ধারকৃত শিশুরা হল- যশোর শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড় এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে নিয়োগ, একই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নয়ন হোসেন ও নূর ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন।
যশোর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর খন্দকার আশরাপুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল ফোনে সংবাদ পাই তেতুলতলা এলাকার পৌরসভার ঢাকনাযুক্ত একটি ড্রেনে শিশু আটকা পড়ে আছে। তখন যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। বিষয়টি সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকারকে অবগত করা হয়। পরে তার নেতৃত্বে দুইটি ইউনিট উদ্ধার কাজে অংশ নেন। উদ্ধারের সময় নিয়োগ নামে শিশুর অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় ড্রেনের ভিতরে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে একটু সুস্থ করে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হৃদয় ও নয়নকে উদ্ধার করার জন্য ড্রেনে অভিযান শুরু হয়। এ সময় ড্রেনের মধ্যে অন্ধকার থাকায় তারা দিক হারিয়ে তেতুলতলা মোড়ের দিকে হাঁটা দেয়। পরে তেতুলতলার রাস্তার অপর পাশ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার স্বজনদের কাছে শিশুদের হস্তান্তর করেন।
সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার জানান, ড্রেনের গন্ধে ও ড্রেনের ঢাকনা বন্ধ থাকার কারণে সেখানে অক্সিজেনের ঘাটতি থেকে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়ে ছিল। উদ্ধারের পরে একটু বিশ্রামের পর শিশুরা সুস্থ বোধ করলে স্বজনদের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।