গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃবৃন্দ কর্তৃক মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, ইসলাম বিদ্বেষী বিজেপি নেতা, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মা ও বিজেপির দিল্লি মিডিয়া অপারেশন প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল কর্তৃক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ মহাপুরুষ ও মুসলমানদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আঘাত দিয়েছে। নুপুর শর্মা গত সপ্তাহে এক টিভি বিতর্কে মহানবী (সা.) ও তাঁর স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অপমানসূচক মন্তব্য করেন। পরে নুপুরের সহকর্মী জিন্দাল টুইটারে মহানবী (সা.) সম্পর্কে আরো কিছু কটূক্তি করেন।
কোনো সভ্য জাতি বা নেতা কারো মৌলিক বিশ্বাসের উপর এভাবে আঘাত হানতে পারে না। এর আগেও ভারতে কুরআনের আয়াত পরিবর্তন চেয়ে করা রীট, মুসলিম বিরোধী আইন, মুসলমানদের উপর গণহত্যা, মসজিদ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ মুসলমানদের উপর নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে বিজেপি সরকার। এসব নীতিহীন অপকর্মের প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার সৃষ্টি হয়েছিল যাতে বহু মানুষ নিহত হয়েছে। ফলে শুধু মুসলমান নয় বরং বিশ্বের শান্তিকামী দেশ ও মানুষ থেকে ধিক্কার এবং ঘৃণা কুড়িয়েছিল ভারত। আবারো এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ শান্তিকামী বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। এই নিন্দনীয় কাজ প্রতিটি মুসলমানসহ বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে। আমরা ঘৃণার সাথে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কটূক্তির এই ঘটনায় পুরো মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদের মুখে রাজনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিজেপি উক্ত কটূক্তিকারীদের তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে মূলত মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। বহিষ্কার কোনো সমাধান নয়। এর পাশাপাশি দ্রুত তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশেও অনুরূপ ধরনের বিভিন্ন ঘটনা ঘটে যেখানে আমরা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের এমন বহু বহিষ্কারের রাজনীতি দেখেছি। বহিষ্কার করে মূলত অপরাধীদের বিচার থেকে বাঁচিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবার তারা দলে ফিরে বিভিন্ন অন্যায় কার্যক্রম করতে থাকে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতে রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা মূলত মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলা ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ। বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কটুক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাতে হবে। একইসাথে ভারতীয় সরকারকে অবিলম্বে কটূক্তিকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ভারতে মুসলিম নিপীড়ন ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মুসলিম বিশ্বকে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করতে চাই, রাসূল (সা.)-এর সম্মান আমাদের জীবনের চেয়েও মূল্যবান। রাসূল (সা.)-এর সামান্য অসম্মান মুসলমানরা মেনে নিবেনা। মুসলমানরা রাসূল সা. এর সম্মান রক্ষার্থে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত। অবিলম্বে এই দোষীদের বিচার ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন বন্ধ না হলে মুসলিম বিশ্ব আবারো উত্তাল হয়ে উঠবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।