পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইরাকে ফের আশার আলো দেখছে থমকে দাঁড়ানো শৈশব। আইএস জিহাদিদের কবলে চলে যাওয়া স্কুলবাড়ি পুনরুদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী, আর তাতেই ফের পাঠশালায় পা রাখতে শুরু করেছে শিশুরা। ইরাকের বেশ কয়েকটি গ্রামে বছর দু’য়েক আগে স্কুলগুলোতে আইএস জিহাদি গোষ্ঠীর কালো পতাকা উড়েছিল। সেদিন থেকেই চুকে গিয়েছিল লেখাপড়ার পাট। দক্ষিণ মসুলের আওসাজা গ্রামের শিশুরা এবার স্কুলে ফিরছে। এত দিন জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের চেহারা নিয়েছিল গ্রামের স্কুল। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দলে টানতে চলত সন্ত্রাসের পাঠ। কায়ারার স্কুলগুলোর অবস্থাও এক। ছেলেদের স্কুলগুলোকে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কেন্দ্র হিসেবে কাজে লাগানো হতো।
এর ফলে স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। সম্প্রতি, ইরাকের জাতীয় সেনার নেতৃত্বাধীন জোট মসুল পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। আর তারপর থেকেই পাল্টাতে শুরু করেছে ছবিটা। মসুলের কিছু এলাকা ইতিমধ্যে পুনরুদ্ধারও করেছে সেনারা। জঙ্গিমুক্ত হয়েছে ইরাকের বেশ কিছু অংশ। তাই এবার সেজে উঠছে স্কুলগুলোও। দেয়ালে পড়েছে রংয়ের পোচ। তবে সমস্যাটা এখনও সম্পূর্ণ মেটেনি। কারণ, এত দিনের জঙ্গি শাসনের ক্ষত এখনও দগদগে। মূল¯্রােতে ফিরতে গ্রামবাসীর কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছেন অনেকে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই সাতশ জনের ভর্তির আবেদন জমা পড়েছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র তিন। অর্থাৎ শিক্ষার পরিকাঠামোই আর নেই। শিশুরা অবশ্য এত সব বোঝে না। বইয়ের ব্যাগ কাঁধে স্কুলে যেতে পেরেই দেদার খুশি তারা। তবে দুই বছর আগের সেই আতঙ্কের স্মৃতি এখনও টাটকা শিশুমনে। ওই স্কুলেরই পড়ুয়ারা দশ বছর আাগের সাদ্দামের কথায়, আইএস বেশ কিছু বই কিনে দিয়েছিল কিন্তু ওই বইয়ে কী লেখা আছে, তা আমরা বুঝতাম না। ওরা আমাদের স্কুলে কালো পতাকা লাগিয়ে দিয়েছিল। তাই বিমান হানার ভয়ে আমরা স্কুলে যেতে পারতাম না। সব সময় আতঙ্কে থাকতাম। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।