মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার বক্তব্যের জন্য সব সময় খবরের শিরোনামে থাকেন। গতকাল বুধবার পাকিস্তানের বেসরকারি টিভি চ্যানেল বোল নিউজকে দেওয়া এক সক্ষাতকারে বলেন, ‘পাকিস্তান এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা হারালে তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান। যদি চলতি সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, তবে এ দেশ আত্মঘাতী হতে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, পাকিস্তানের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু অন্য কোথাও ছিল বলে আভাস মিলেছে। ক্ষমতার ভরকেন্দ্রটি কোথায় ছিল, তা সবার জানা। পাকিস্তান যদি দেউলিয়া হয়ে যায়, তবে দেশের জন্য এরচেয়ে আর খারাপ কী ঘটতে পারে। তার মতে, ইনস্টিটিউশনগুলো যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়, তবে পাকিস্তান ভেঙে তিন টুকরো হয়ে যাবে।’
ইমরান খান বলেন, ‘বেলুচিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে বিদেশে ভারতীয় থিংকট্যাংকগুলো চিন্তাভাবনা করছে। তাদের পরিকল্পনা রয়েছে। যে কারণে আমি চাপ দিয়ে যাচ্ছি।’ তবে কাকে তিনি চাপ দিচ্ছেন, সেই কথা উল্লেখ করেননি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর থেকে রুপি ও শেয়ারবাজারের দরপতন হচ্ছে। সর্বত্র বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন দায়িত্বে ছিলাম তখন কোনো সুবিধা ভোগ করতে পারিনি। ভালো কিছু করতে গেলেই বাধাপ্রাপ্ত হয়েছি।’
চলতি বছরের শুরুতে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। তার বিরুদ্ধে যেদিন অনাস্থা ভোট হয়েছে, সেই রাতের ঘটনা স্মরণ করতে বলা হয়েছিল তাকে। তখন তিনি বলেন, ‘ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না। তবে এখন আমি বিস্তারিত কিছু বলছি না। কিন্তু যখন ইতিহাস লেখা হবে, তখন অনাস্থা ভোটের রাতের কথাও আসবে। কারণ সেদিন পাকিস্তানের ইনস্টিটিউশনগুলো ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে।’
ইমরান খান বলেন, আগামীতে দোদুল্যমান অবস্থায় না থেকে হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে হবে, নতুবা দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আমাদের হাত বাঁধা ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছি। আমাদের হাতে ক্ষমতা ছিল না। সবাই জানেন যে পাকিস্তানে ক্ষমতা কোথায় থাকে। কাজেই তাদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে আমাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।