মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা খুবই কঠিন।
তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া যদি তাদের সস্তায় তেল দিতে চায় এবং এই তেল কেনার ক্ষেত্রে যদি কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে না হয়, তাহলে তিনি ওই প্রস্তাব বিবেচনা করবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, ভারত যদি রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কিনতে পারে, তাহলে পাকিস্তান কেন পারবে না? তখন মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি অবশ্যই বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
একইসাথে মিফতাহ বলেছেন, তার মনে হয় না, পাকিস্তানের ব্যাংকের পক্ষে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার ব্যবস্থা করা সম্ভব। তিনি জানিয়েছেন, মস্কো এ রকম কোনো প্রস্তাব পাকিস্তানকে দেয়নি। আগের সরকার রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য চিঠি লিখেছিল। কিন্তু রাশিয়া তার কোনো জবাব দেয়নি।
পাক অর্থমন্ত্রীর মতে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে তাদের কাছ থেকে তেল কেনা খুবই কঠিন বলে তিনি মনে করেন।
এখন পর্যন্ত রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪০ ভাগ গ্যাস ও ২৭ ভাগ তেলের চাহিদা মেটাচ্ছে ইউরোপজুড়ে। এই জ্বালানি ঘর গরম রাখতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং শিল্পে ব্যবহৃত হয়। এতটা নির্ভরশীলতা হুট করে কমানো সম্ভব নয় তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ইউরোপকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে৷ অবশ্য এই নির্ভরশীলতা কাটাতে অন্তত আরো পাঁচ বছর প্রয়োজন৷
রয়টার্স অবশ্য মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, বর্তমানে রাশিয়ার উপর যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, তাতে, অন্য দেশের মস্কো থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা মনে করেন, ভবিষ্যতে আরো নিষেধাজ্ঞা জারি করে এই তেল কেনার বিষয়টিতে কড়াকড়ি করা হতে পারে।
ইমরান খানের দলের নেতা শিরিন মাজারি বলেছেন, অর্থমন্ত্রী প্রকৃত অবস্থার কথা জানেন না। রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। মন্ত্রী ভারতকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। আসলে অ্যামেরিকার ভয়ে তিনি তেল কিনছেন না।
অ্যামেরিকা এখন অশোধিত তেল আমদানি করতে অসুবিধায় পড়েছে। সূত্রকে উদ্ধৃত করে দ্য ডন জানাচ্ছে, পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম ডিভিশন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছে, তেল আমদানি করতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ, বিদেশী ব্যাংকগুলো অয়েল মার্কেটিং কোম্পানিগুলিকে লেটার অফ ক্রেডিট দিচ্ছে না।
সূত্র : রয়টার্স, দ্য ডন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।