Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাকিস্তানে এক লিটার রান্নার তেল ৬০৫ রুপি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২২, ১:৫৬ পিএম

পাকিস্তানে রান্নার তেল ও ঘি’র দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রতি লিটারে রান্নার তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ২০০ রুপিরও বেশি। এতে করে দেশটির বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে ভোজ্য তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০৫ রুপিতে, যা ছাড়িয়েছে আগের সব রেকর্ড।

তবে সরকার নির্বারিত এই দামের কোনো উপস্থিতি পাকিস্তানের খুচরা বাজারে নেই। বুধবার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ঘি ও রান্নার তেলের দাম মঙ্গলবার অভূতপূর্বভাবে বাড়ায় পাকিস্তানের সরকার। এদিন দেশটির সরকার নজিরবিহীনভাবে রান্নার তেলের দাম প্রতি লিটারে বাড়ায় ২১৩ রুপি এবং প্রতি কেজি ঘি’র দাম বাড়ানো হয় ২০৮ রুপি।

এতে করে ভোক্তাপর্যায়ে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। মূল্যবৃদ্ধির পর প্রতি লিটারে রান্নার তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০৫ রুপি এবং ঘি’র দাঁড়িয়েছে ৫৫৫ রুপিতে। যদিও সরকার নির্ধারিত এই হার এখনও খুচরা বাজারে বিদ্যমান নেই বলেই জানিয়েছে দ্য ডন।

পাকিস্তানের করাচির ইউটিলিটি স্টোর কর্পোরেশনের (ইউএসসি) একজন কর্মকর্তা ডনকে মূল্যবৃদ্ধির এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, একলাফে ঘি এবং রান্নার তেলের ব্যাপক এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ইউএসসি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং আজ বুধবার থেকেই সেটি কার্যকর হয়েছে।

অবশ্য হঠাৎ করে রান্নার তেল ও ঘি’র এতোটা মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তা। তবে সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, পাকিস্তানের খুচরা বাজারে বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ঘি ও রান্নার তেলের সর্বোচ্চ হার এখনও প্রতি কেজি/লিটার ৫৪০-৫৬০ রুপির মধ্যে রয়েছে।

তবে পাকিস্তান বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিভিএমএ) সেক্রেটারি-জেনারেল উমের ইসলাম খান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ঘি ও রান্নার তেলের খুচরা দাম শিগগিরই ইউএসসির নির্ধারিত দামের সমান হবে।

তিনি বলেন, ঘি/রান্নার তেল প্রস্তুতকারীরা ইউএসসিকে ক্রেডিট করে পণ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কারণ কর্পোরেশন উৎপাদনকারীদের কাছে বকেয়া থাকা ২০০ থেকে ৩০০ কোটি রুপি এখনও পরিশোধ করেনি।

উমের বলছেন, পাম তেলের সরবরাহ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর টাস্কফোর্স কমিটির কর্মকর্তা এবং পিভিএমএর কর্মকর্তারা পাম তেলের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে প্রতিদিন জুম মিটিং করছেন।

তিনি বলেন, করাচি বন্দরে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টন পাম তেলের মজুদ রয়েছে যা তিন সপ্তাহ ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ