মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার উপরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়েছে ইউরোপিয় দেশগুলো। একদিকে, যেমন তীব্র জ্বালানি সঙ্কটে দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কটের আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এদিকে, ইউক্রেনের আরও দুইটি গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোডোনেৎস্ক ও লিম্যান মুক্ত করেছে রুশ সেনা। এমন পরিস্থিতে রাশিয়ার সাথে সমঝোতা করে ইউক্রেন সঙ্কটের সমাধান করতে চাচ্ছে ইইউয়ের দুই প্রধান শক্তি জার্মানি ও ফ্রান্স।
শনিবার ক্রেমলিন প্রেস সার্ভিস জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, তার ফরাসি সমকক্ষ ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সাথে টেলিফোন কথোপকথনে কিয়েভের সাথে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মস্কোর প্রস্তুতি নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আলোচনা ট্র্যাকের অবস্থার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হয়েছিল, যা কিয়েভের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে। ভøাদিমির পুতিন নিশ্চিত করেছেন যে রাশিয়া সংলাপ পুনরায় শুরু করার জন্য উন্মুক্ত।’
রুশ বিরোধী নিষেধাজ্ঞা এবং পশ্চিমের অন্যান্য ভুলের কারণে খাদ্য সরবরাহের সমস্যা হয়েছে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট টেলিফোন কথোপকথনে বলেছেন, প্রেস সার্ভিস জানিয়েছে। ‘নির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করে, ভøাদিমির পুতিন খাদ্য সরবরাহের সমস্যাগুলির প্রকৃত কারণ ব্যাখ্যা করেছেন, যা পশ্চিমা দেশগুলির বিপথগামী অর্থনৈতিক ও আর্থিক নীতির পাশাপাশি তাদের আরোপিত রাশিয়া বিরোধী নিষেধাজ্ঞার ফলাফল ছিল,’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ক্রেমলিন উল্লেখ করেছে, ‘রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর বন্দর থেকে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি সহ শস্যের অবাধ রপ্তানির বিকল্প খুঁজে পেতে সাহায্য করতে প্রস্তুত। রাশিয়ান সার এবং কৃষি পণ্যের ক্রমবর্ধমান সরবরাহ বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে, যার আগে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক নিষেধাজ্ঞাগুলি অপসারণ করতে হবে।’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এর আগে বলেছিলেন, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর অনেক আগে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে, যেমন মহামারী এবং পশ্চিমা দেশগুলোর ভুল হিসাব-নিকাশের কারণে। একই সময়ে, ল্যাভরভ যোগ করেছেন যে, বর্তমান পরিস্থিতি সমস্যাটিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলি খাদ্য সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে, যা সঙ্কটকে আরও খারাপ করেছে।
পুতিন দুই রাষ্ট্রনেতাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানোর পরিণতি মারাত্মক হতে পারে। সতর্ক করেছে, এতে ইউরোপের স্থিতাবস্থা আরওই বিঘ্নিত হবে। মানব-সঙ্কটও দেখা দিতে পারে। মাখোঁ ও শলৎজ মারিউপোলের আজভস্টল কারখানা থেকে ধৃত ইউক্রেনীয় সেনাদের মুক্তির দাবি জানান। সেখানে কোণঠাসা হয়ে আটকে পড়া ইউক্রেনীয় সেনারা পরে রাশিয়ার হাতে বন্দি হয়। তাদের সংখ্যা কমপক্ষে ২৫০০।
সেভেরোডোনেৎস্ক ও লিম্যান শহরের পতন : রাশিয়া লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিক (এলপিআর) এর সেভেরোডোনেৎস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, রাশিয়ার চেচেন প্রজাতন্ত্রের প্রধান রমজান কাদিরভ শনিবার বলেছেন। কাদিরভ তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, ‘সেভেরোডোনেৎস্ক আমাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরটি মুক্ত করা হয়েছে। বাসিন্দারা সহজে বিশ্রাম নিতে পারে। এখন থেকে তারা আর বিপদে পড়বে না।’ কাদিরভের মতে, এক সপ্তাহের মধ্যে শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আশা করা হয়েছিল, তবে লক্ষ্যটি আরও দ্রুত অর্জন করা হয়েছে।
এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ডনবাসের পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। মারিউপোল একেবারই চলে গিয়েছে রাশিয়ার হাতে। এমনকি, শুক্রবার লিম্যান শহরও দখল করেছে রাশিয়া। শনিবার সে খবর নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, ‘ইউক্রেনের থেকে লিম্যান সম্পূর্ণ রূপে স্বাধীন হল।’
ইউক্রেনের সেøাভিয়ানস্ক শহরে যাবার রাস্তার ওপর এই লিমানের অবস্থান, এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল-সংযোগস্থল। রাশিয়া যেভাবে পুরো ডনবাস এলাকার নিয়ন্ত্রণ দখল করার চেষ্টা করছে সেই প্রয়াসে এ শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা ওলেক্সেই আরেস্টোভিচ বলেছেন, তাদের পাওয়া খবর অনুযায়ী তারা লিমান হারিয়েছেন, এবং রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখন শহরটি নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি আরো বলেন, লিমানের ওপর রুশ বাহিনী যে আক্রমণ চালিয়েছে তা ছিল সুসংগঠিত। বিবিসির বিশ্লেষক পল কারবি বলছেন, লিমান দখল করাটা রুশ সমর্থিত বিদ্রোহীদের জন্য একটি বড় মুহূর্ত। গত এক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়ার জন্য এটি দ্বিতীয় বড় সাফল্য। এর আগে তাদের হাতে আরো দক্ষিণের শহর স্ভিটলোডারস্ক শহরটির পতন হয়।
প্রাণভয়ে পালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা : বন্দী হওয়া এড়াতে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে লুহানস্ক অঞ্চলে তাদের শেষ অবস্থান থেকে পিছু হটতে শরু করেছে। একজন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ান সৈন্যদের সাম্প্রতিক অগ্রগতি তিন মাস পুরনো যুদ্ধের গতি পরিবর্তন করেছে। একটি প্রত্যাহার পুতিনকে পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক এবং ডোনেৎস্ক অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে দখল করার লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে। তার সৈন্যরা কিছু শহরে ইউক্রেনীয় সেনাদের হারিয়ে সম্মিলিতভাবে ডনবাস নামে পরিচিত দুটি এলাকা মুক্ত করেছে।
লুহানস্কের গভর্নর সের্হি গাইদাই বলেছেন যে, ‘আমাদের আত্মরক্ষার জন্য যথেষ্ট শক্তি এবং সংস্থান থাকবে। তবে, এটা সম্ভব যে ঘেরা না হওয়ার জন্য আমাদের পিছু হটতে হবে,’ টেলিগ্রামে গাইদাই বলেছেন, সর্বশেষ গোলাবর্ষণে সেভেরোডোনেৎস্কের ৯০ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ১৪টি উঁচু ভবন ধ্বংস হয়েছে। লুহানস্ক অঞ্চলের শহরটির দুই-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই অবরোধ করা হয়েছে কিন্তু এখনও ঘেরাও করা হয়নি, স্থানীয় সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেক্সান্ডার স্ট্রাইক টেলিগ্রামে বলেছেন, ইউক্রেনের সরকারী সেনারা তীব্র প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অবশ্য মস্কোর রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে জানিয়েছে, শহরটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
ইউক্রেনে দমন-পীড়নের শিকার রুশপন্থী নেতারা : ইউক্রেনের রাজনীতিবিদরা এখন স্পষ্টতই দুইভাগে বিভক্ত। একদিনে আমেরিকাপন্থী জেলনস্কি সরকার, অন্যদিকে রুশপন্থী শিবির। ভলোদিমির জেলনস্কি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সেখানে রুশপন্থী রাজনীতিবিদদের উপরে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। কিছুদির আগেই এক রুশপন্থী নেতাকে জেল দেয়া হয়েছে। এবার রুশপন্থী আরেক নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কোকে দেশত্যাগে বাধা দেয়া হয়েছে। তিনি লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো সংস্থার বৈঠকে অংশ নিতে ইউক্রেন ত্যাগ করতে গেলে তাকে বাধা দেয়া হয়। শনিবার তার দলের সংসদীয় কমিটি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি পরামর্শমূলক আন্তঃসংসদীয় সংস্থা ন্যাটোর পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলির বৈঠকে যাওয়ার পথে পোল্যান্ডের সাথে একটি সীমান্ত ক্রসিংয়ে পোরোশেঙ্কোকে দুবার থামানো হয়েছিল। ইউক্রেনীয় মিডিয়া জানিয়েছে যে, পোরোশেঙ্কো তাকে দেশ ছাড়ার অনুমতি দিয়ে ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার’ কারণে সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেনি। ‘পোরোশেঙ্কো দেশ ছাড়ার সমস্ত আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছিলেন এবং এই অনুষ্ঠানের জন্য ইউক্রেনের পার্লামেন্টের সরকারী প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন,’ তার ইউরোপীয় সংহতি সংসদীয় দল বলেছে। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিটানাস নৌসেদা সহ ভিলনিয়াসে পোরোশেঙ্কোর একাধিক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। রটারডামে ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টির একটি সভায়ও তার অংশ নেয়ার কথা ছিল।
জানুয়ারিতে, পোরোশেঙ্কো একটি আদালতের রায়ে জয়লাভ করেন যাতে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তদন্তের সময় তাকে স্বাধীনতভাবে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। তিনি বলেছেন যে, এটি তার উত্তরাধিকারী প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মিত্রদের সাথে যুক্ত একটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ছিল।
ফের সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে ইউক্রেনীয় সেনা : রুশ সেনার বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে টিকতে না পেরে বেসামরিক নাগরিকদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদী সেনারা। তারা লিসিচানস্ক এবং সøাভিয়ানস্ক শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে, যখন বিদেশী ভাড়াটেরা বাখমুত শহরের একটি স্কুল এবং একটি কিন্ডারগার্টেনে অবস্থান করছে।
শনিবার রাশিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের প্রধান কর্নেল-জেনারেল মিখাইল মিজিনসেভ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিকের বাখমুতে, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটগুলি বিদেশী ভাড়াটে সৈন্যদের সাথে কিন্ডারগার্টেন নং ৪৯ এবং স্কুল নং ১৮-এ অবস্থান করছে এবং ভবনগুলির পাশে রাস্তা অবরোধ এবং গুলি চালানোর অবস্থান স্থাপন করা হয়েছে।’ মিজিনসেভ বলেন, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনী লিসিচানস্কের একটি কলেজে একটি শক্তিশালী ঘাঁটি সজ্জিত করেছিল, বেসমেন্টে যুদ্ধাস্ত্র স্থাপন করেছিল এবং বাইরে ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছিল।
‘ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিকের সøাভিয়ানস্কে, জাতীয়তাবাদীরা ১৪ এবং ২০ নং স্কুলে গুলি চালানোর অবস্থান তৈরি করেছে। নিরাপত্তার অজুহাতে ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাঁজোয়া যান, ভারী কামান এবং একাধিক লঞ্চ রকেট সিস্টেম সংলগ্ন অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। কাছাকাছি বাড়ির বাসিন্দাদের জোরপূর্বক আটক করা হয়েছে।’
রুশ সেনাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে মার্কিন গণমাধ্যম : ইউক্রেনে গণহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ যে রাশিয়া মার্কিন গণমাধ্যমে ছড়িয়েছে তা রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীকে শয়তানি করার প্রচারণার অংশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত রাশিয়ান দূতাবাস বলেছে। ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নিউ লাইনস ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি এনজিওর প্রতিবেদনের প্রতি মনোযোগ দিয়েছি, সেখানে ইউক্রেনে গণহত্যার উসকানি দেয়া নিয়ে রাশিয়াকে দোষারোপ করা হয়েছে। পরবর্তী রাশিয়া-বিরোধী প্ররোচনাগুলি পশ্চিমাদের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রচারণার একটি উপাদান। রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীকে হেয় করার জন্য এটি করা হচ্ছে,’ দূতাবাস বলেছে।
রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশন বলেছে, ‘আসল সত্য ঘটনাস্থলেই একেবারে বিপরীত। রুশ সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের এলাকায় মানবিক সহায়তা তৈরি করা হচ্ছে।’ সূত্র : তাস, ইউএসনিউজ, আইনিউজ, তাস, বিবিসি নিউজ, ডেইলি সাবাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।