নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অধিনায়ক হিসেবে জিতলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম শিরোপা। আনন্দঘন মুহূর্তটি উদযাপনের মুহূর্তেই রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের একটি মন খারাপ করা সংবাদ দিলেন মার্সেলো। অভিজ্ঞ এই লেফট-ব্যাক জানালেন, প্যারিসের ফাইনালই ছিল ক্লাবের হয়ে তার শেষ ম্যাচ। গতপরশু রাতে প্যারিসের ফাইনালে ভিনিসিউস জুনিয়রের একমাত্র গোলে লিভারপুলকে হারিয়ে রেকর্ড ১৪তম বারের মতো ইউরোপ সেরা হয়েছে রিয়াল। মাদ্রিদের ক্লাবটির অধিনায়ক মার্সেলো এই ম্যাচে ছিলেন না শুরুর একাদশে। বদলি হিসেবেও নামানো হয়নি তাকে। নিজে না খেললেও দল অন্তপ্রাণ মার্সেলোর উচ্ছ¡াসের একটুও কমতি ছিল না। ম্যাচের শেষ বাঁশির পর এই ব্রাজিলিয়ানের দিকে ক্যামেরা ঘুরতেই দেখা যায়, তার চোখ ছলছল করছে। কে জানত, তার বাঁধভাঙ্গা আবেগের কারণ ছিল শুধু চ্যাম্পিয়ন হওয়াই নয়, ক্লাবের হয়ে নিজের শেষটা দেখে ফেলারও।
জুনে রিয়ালের সঙ্গে মার্সেলোর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি নবায়নের বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকে কিছু না জানানোয় ধারণা করা হচ্ছিল, ২০২১-২২ মৌসুম শেষেই ক্লাব ছাড়তে যাচ্ছেন ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। ছন্দ হারিয়ে একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়লেও মার্সেলোর ইচ্ছা ছিল থেকে যাওয়ার। গনমাধ্যমেও মাঝেমধ্যে এসেছে তার ইচ্ছার কথা। শেষ পর্যন্ত যদিও তা পূরণ হলো না।
এদিন প্যারিসে করিম বেনজেমা অধিনায়কের দায়িত্বে থাকলেও রিয়ালের প্রথম অধিনায়ক হওয়ায় শিরোপা তুলে দেওয়া হয় মার্সেলোর হাতে। এরপর নিজের অনুভ‚তি জানাতে গিয়ে বলেন, মাদ্রিদ ছাড়ছেন তিনি, ‘খুব দারুণ একটি মুহূর্ত। দলের প্রথম অধিনায়ক হলে স্বাভাবিকভাবেই ট্রফি উঁচিয়ে ধরার স্বপ্ন জাগে এবং আমি একমাত্র ব্রাজিলিয়ান হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের অধিনায়ক হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পেরেছি। মুহূর্তটা উথালপাথাল আবেগের, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এটাই আমার শেষ ম্যাচ ছিল। কিন্তু আমি খুব খুশি। আজ কোনো হতাশার দিন নয়, আমি খুব খুশি মনে চলে যাচ্ছি। (সান্তিয়াগো) বার্নাব্যুয়ে আমি যে জাদুকরী রাতগুলো উপভোগ করেছি তার জন্য সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
২০০৭ সালে ব্রাজিলের কিংবদন্তি রবের্তো কার্লোসের উত্তরস‚রি হিসেবে ১৮ বছর বয়সে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন মার্সেলো। এরপর সময়ের সঙ্গে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন সবসময়ের সেরাদের কাতারে। রিয়ালের হয়ে তার রেকর্ডও দারুণ সমৃদ্ধ। ১৬ বছরের অধ্যায়ে ক্লাবটির হয়ে ৬টি লা লিগা ও ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ জিতেছেন ২৫টি শিরোপা। স্পেনের সফলতম ক্লাবটির হয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ফুটবলার তিনিই। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৪৫ ম্যাচে গোল করেছেন ৩৮টি, অ্যাসিস্ট ১০৩টি। তবে চলতি মৌসুমে দলে জায়গা পেতে সংগ্রাম করতে হয়েছে মার্সেলোকে। অধিনায়ক হলেও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ম্যাচ খেলতে পেরেছেন কেবল ১৭টি। গত শনিবার কার্লোস বলেছিলেন যে, মার্সেলোকে ক্লাবে ধরে রাখার ব্যাপারে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেসের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। কিন্তু তা আর হলো না। শেষ হলো রিয়ালে তার বর্ণিল অধ্যায়ের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।