পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমের রাজ্য রাজশাহী অঞ্চলে আমের বাজার জমতে শুরু করেছে। এবার আম বাণিজ্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। শুরুটা গুটি আমদিয়ে হলেও বেঁধে দেয়া সময়সূচি মেনে আসে বনেদী জাতের আম গোপালভোগ। শুরুতেই বাজারে গোপালভোগের ভাল দাম মিলে। এবার যাত্রা শুরু করেছে মন প্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে। গত বছর দাম ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
টক মিষ্ট স্বাদের গুটি আমও বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে হাজার টাকা মন দরে। বাজারে এসেছে কম মিষ্টির ডায়াবেটিক্স আম বলে পরিচিত লক্ষণভোগ। গত বছর ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা মন দরে কেনার লোক না থাকলেও এবার শুরুতে ৮০০ থেকে হাজার টাকা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। সূচি মেনে বাজারে এখন সুস্বাদু আম খিরসাপাতি আসতে শুরু করেছে। তবে পরিপক্ক হতে আরেকটু সময় লাগবে। শুরুতেই বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি ২ হাজার ২০০ টাকায়। এ আমের চাহিদা বেশী। দাম আরও বাড়বে এমন প্রত্যাশা আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের। এখনো রাণী পছন্দ আসেনি।
প্রশাসনের দেওয়া সময় অনুযায়ী রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ আর নওগাঁয় শুরু হয়েছে বনেদী জাতের আম পাড়া। খিরসাপাতি, ল্যাংড়া, আম্রপালি, ফজলী, আশ্বীনা জাতের আম। তিন জেলাজুড়ে চলছে আম ব্যবসা। তবে দাম চড়া হওয়ায় এখনো মধুমাসের মধু ফল আমের স্বাদ পরখ করে দেখতে পারেনি মধ্যবিত্তরা।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামে চিড়ে চ্যাপ্টা মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত মানুষ আম বাজারের দিকে সাহস করে তাকাচ্ছেন না। বাজারে এসেছে ক্ষণিকের অতিথি লিচু। জাত ভেদে প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৮০ টাকায়। সাধারণ লোকজন পরিবারের জন্য ২০/২৫টা লিচু কিনছেন। আর কটাদিন পর লিচুর বোটায় পোকা ধরবে এবং দামও কিছুটা কম হবে।
আম বাজারের দিকে তাকিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন এবার রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় আম বাণিজ্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। করোনার কারনে গত দু’বছর আমের খুব একটা ভাল ব্যবসা হয়নি। প্রত্যাশা এবার সে ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠা যাবে। যদিও এবার প্রচন্ড খরা আর আমের অফ ইয়ারের কারনে ফলন কম হয়েছে।
রাজশাহীতে সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমির আম বাগানে দুই লাখ ১৪ হাজার মেট্রিকটনের বেশি আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। রাজশাহীতে প্রায় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রি হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। প্রায় ৫৫ লাখ গাছ থেকে আম পাওয়া যাবে সোয়া তিন লাখ মেট্রিক টন। এর মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা।
অপরদিকে নওগাঁয়ে সাড়ে ২৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এসব বাগানে আম্রপালিসহ নতুন জাতের আমের প্রাধান্য বেশি। গোপালভোগ, খিরসাপাতি, ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, নাক ফজলী, বারী-৪, আশ্বীনা ও গৌড়মতি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৬৮ হাজার ৪৩৫ মেট্রিক টন। বিক্রির টার্গেট দুই হাজার কোটি টাকার উপরে। ইউরোপের বাজারেও যাত্রা শুরু করেছে আম। এবারও ব্যাপকহারে বিদেশে আম যাবে এমন প্রত্যাশা চাষিদের। এদিকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আবহাওয়াজনিত কারনে আমের কিছুটা ক্ষতি হলেও বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মোট উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে।
রাজশাহীর সাহেব বাজার, শালবাগান বাজার এবং আমের মোকাম বানেশ্বর বাজারে সরবরাহ বাড়লেও এবার সব আমের দাম চড়া। আর কয়েকটা দিন পরই জমে উঠবে আমের বাজার। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক আম দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। দাম চড়া থাকায় আম চাষিরা খুশী। প্রতি বছর আম মৌসুমে কমপক্ষে শত কোটি টাকার বাণিজ্য করে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো। এবার তারা লিচু আর গুটি আম দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে বড় বড় কুরিয়ার সার্ভিসগুলো এবার পার্শ্বেল খরচ বাড়িয়েছে। কারো কারো রেট এমন যে আমের দামের চেয়ে পাঠানোর খরচ বেশি। গত বছর কেজিপ্রতি ৯ থেকে ১০ টাকা হলেও এবার পার্শ্বেলের খরচ দ্বিগুণের বেশি। আমের দাম আর পাঠানোর খরচের ধাক্কা লেগেছে সাধারণ লোকের গায়ে। অনেকেই বলছেন, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের কাছে এবার মধু মাসের ফল পরিমাণে কম পাঠাতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।