বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাহাড়ে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আমি ২ বছর আগে রাঙামাটিতে এসে হেডম্যান, কার্বারী, জনপ্রতিনিধি ও তিন পার্বত্য জেলার রাজা উনাদের নিয়ে আলাপ আলোচনা করেছি তাদের একটা অনুরোধ ছিলো এই এলাকার শান্তির জন্য, তারা নানান ধরণের সাজেশন দিয়েছিলেন, তাদের ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা বলছিলেন, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী এবং দল উপদলের মারামারি কথা বলছিলেন।
শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সেনাবাহিনী যেখানে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছেন, তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে এবং জনসংহতি সমিতির সাথে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিলো, সেই চুক্তিকে সামনে রেখে এবং চুক্তির একটি শর্ত ছিলো সেনাবাহিনীর যে পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলো সেখানে পুলিশ মোতায়েন করার, আমরা পুলিশ দ্বারা পরিপুর্ণ করব যাতে এই এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকে। আমরা সেটাকে লক্ষ্যে রেখে ধীরে ধীরে তিন জেলায় পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করতে যাচ্ছি। লক্ষ্য একটাই আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং শান্তির সুবাতাস যেন বয়।
তিনি বুধবার (২৫ মে২২) রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দবান জেলার বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় একথা বলেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, আপনারা এও জানেন আমরা জলদুস্য ও চরমপন্থী মুক্ত করেছি, সেই জায়গায় এখানেও আমরা শান্তি শৃঙ্খলা সবার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত করব, এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আমরা আজকে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, তিন জেলায় তিনটি আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন আসবে, যার সদর দপ্তর হবে রাঙামাটি। এই তিন ব্যাটালিয়নের পুলিশ সদস্যরা ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। আপাদত আমরা ৩০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রথমধাপে তিনটি ক্যাম্প বসানো হবে, কাল আমরা এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করব।
তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন, ভুমি কমিশন কার্যকরসহ বিভিন্ন কথা বলেছেন আমরা সব নোট করে নিয়েছি। সবকিছু ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে এটা আমরা তার সাথে আলোচনা করে নিয়েছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যেখানে যা প্রয়োজন হয় তা করা হবে, সরকার পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর।
তবে সভার বিষয়ে কোন কথা বলতে চাননি পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় ওরফে সন্তু লারমা।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন সর্ম্পকিত চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় ওরফে সন্তু লারমা, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, মন্ত্রী পরিষদের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমদ, র্যাব, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, ডিজিএফআই/এনএসআই এর মহাপরিচালক. তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের কর্মকর্তা উধর্ব্বন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।