পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের চিঠি পাঠানোর বিষয়ে জানতেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এভাবে চিঠিটি পাঠানো উচিত হয়নি বলেও মনে করেন তিনি। সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিক নেতারা সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা জানান তিনি।
সাংবাদিক নেতাদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। ঘটনাগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছে। আসলে আমারও জানা ছিল না। তথ্যমন্ত্রীও বোধ হয় বিষয়টি জানতেন না। আমি সঙ্গে-সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি আপনাদের মতোই একটি চিঠির কথা বলেছেন। সেই চিঠির উৎপত্তিটা কোথায়, সেটাও আমি দেখেছি। আমার মনে হয় একটি ভুল-বোঝাবুঝির মাধ্যমেই চিঠিটা পাঠানো হয়েছে। যেখানেই গিয়ে থাকুক চিঠিটা, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এভাবে চিঠি পাঠানো উচিত হয়নি। সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মুনজুরুল আহসান বুলবুল, কুদ্দুস আফ্রাদ, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল জলিল ভুইয়া, ওমর ফারুক, সাজ্জাদ আলম খান তাপু উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি আরেকটু দেখে নিই। কোথা থেকে কীভাবে কী হয়েছে, দেখে ব্যবস্থা নেব। অবশ্যই আপনাদের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। আপনারা কষ্ট পেয়েছেন, ব্যথা পেয়েছেন। সেই জায়গাটায় কিছু করতে না পারলেও পরবর্তীতে এমনটা যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখব। আমি সবার সঙ্গে আলাপ করছি। এনএসআই, সিআইডি, এসবি, বাংলাদেশ ব্যাংক, সবার সঙ্গেই আলাপ করছি। আমি কাল রূপপুর যাচ্ছি, সেখান থেকে এসে আবার বসব। যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেগুলো আমরা দেখব। এ মুহূর্তে আপনাদের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত যে চিঠিটা অপ্রত্যাশিত।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সম্পাদকসহ ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য (অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, কবে খোলা হয়েছে, জমা, উত্তোলনসহ লেনদেন বিবরণী, অ্যাকাউন্টের স্থিতি) আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে পাঠাতে বলা হয়। চিঠিতে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে। যেসব সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে তারা হলেন : জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (বিএনপি সমর্থিত) আব্দুল কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএনপি সমর্থিত) সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি (আওয়ামী লীগ সমর্থিত) মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আব্দুল মজিদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।