মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বুধবার ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে করা লংমার্চ ভেস্তে দিতে লাহোরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর কর্মীদের উপর হামলা চালায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ইসলামাবাদে পৌঁছাতে বাধা দিতে সরকার কর্তৃক বাট্টি চকে মোতায়েন করা কন্টেইনারগুলোর ঠেলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে এ হামলা চালায়।
পিটিআই সমর্থকরা লাহোর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার রুটে রাখা কন্টেইনারগুলি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। পিটিআই নেতা ইয়াসমিন রশিদ, হাম্মাদ আজহার এবং শাফকাত মেহমুদ কর্মীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ সময় দলীয় সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে। সংঘর্ষের পর পিটিআইয়ের অন্তত ১২ কর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
পাঞ্জাবের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়াসমিন রশিদকেও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা সংক্ষিপ্তভাবে থামিয়ে দেয়া হয়েছিল, দলটি দাবি করেছে যে, পুলিশ ‘তার গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয়ার’ চেষ্টা করেছিল৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, একজন কথিত পিটিআই সমর্থক সাবেক মন্ত্রীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করছেন। পুলিশ অবশ্য বাধা দিলেও অল্প সময়ের জন্য ইয়াসমিনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
একটি টুইটে, পিএমএল-এন সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ অভিযোগ করেছেন যে পাঞ্জাব পুলিশ পিটিআই লাহোরের অফিস-কর্মকর্তা জুবায়ের নিয়াজি এবং বাজাশ নিয়াজির গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া ক্যাশের ছবি শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘এটা তথাকথিত লংমার্চের কুৎসিত চেহারা। এগুলোই উদ্দেশ্য।’
ফায়ারব্র্যান্ড পিএমএল-এন নেতার মতে, পুলিশ পিটিআই সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। বর্তমান জোট সরকার মঙ্গলবার ২৫ মে (আজ) রাজধানীতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে তার ‘আজাদি মার্চ’ অনুষ্ঠিত হতে বাধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই শঙ্কা জাগিয়েছে যে যদি ‘রক্তাক্ত মার্চ’ অঙ্কুরে না ঠেকানো হয়, এটি ‘সরকার পতর ঘটাতে পারে’।
‘আজাদি মার্চ’ ঠেকাতে ভীত সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছে। কারণ ইমরান খানের বিপুর জনসমর্থন তাদেরকে আতঙ্কে রেখেছে। পিটিআই আন্দোলনকে দমন করার সিদ্ধান্তটি আসে হাজার হাজার নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সরকারের উদ্বিগ্ন পদক্ষেপের মধ্যে যারা এক দিন আগে ফেডারেল রাজধানীতে প্রবেশ করেছিল এবং দলের নেতাদের বাড়িতে একাধিক গ্রেপ্তার ও অভিযান চালিয়েছিল। সরকার মিছিলকারীদের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে কার্যত পরিখা দিয়ে ঘিরে রেখেছে। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।