পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফজলি আমের জিআই নিয়ে টানাটানির নিস্পত্তি হলো রাজশাহী ও চাঁপাইনববাবগঞ্জকে জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক চিহ্ন) সনদ দিয়ে। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরে শুনানি শেষে ফজলি আমের জিআই সনদ রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুই জেলারই থাকছে বলে জানানো হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের রেজিস্ট্রার শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফজলি আমের জিআই নিয়ে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরে এ ব্যাপারে শুনানি শুরু হয়। দুপুর একটার দিকে শুনানি শেষ হয়। শুনানিতে রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শুনানি গ্রহণ করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকার।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ২০১৭ সালে ফজলি আমের জিআই নিয়ে একটি আবেদন হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই আদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। যদি কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ থাকে, তাহলে তারা আদালতে আপিল করতে পারবেন।
শুনানিতে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তারা বলেন, বাঘা মসজিদকে কেন্দ্র করে এই আমের উৎপত্তি। বাঘা মসজিদ ৫০০ বছরের পুরোনো। মসজিদের মিম্বারের গায়ে ফজলি আমের আকৃতি রয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, ফজলি আমের জিআই সনদ রাজশাহীর পাওয়ার কথা।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কর্মকর্তারা বলেন, ফজলি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি পণ্য। এটি বছরে ১৫০-১৬০ টন উৎপাদন হয়, যার সিংহভাগই হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। আর রাজশাহী, নাটোর ও আশপাশের জেলায় অবশিষ্ট ফজলি আম উৎপাদন হয়। শুনানিতে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্থানীয় চেম্বার অফ কমার্স এবং কতিপয় কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।