Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবকে ঘিরে ভারতে বাড়ছে মুসলিম বিদ্বেষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২২, ১২:০৫ এএম

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব মারা গেছেন ৩০০ বছরেরও বেশি সময় আগে, কিন্তু তাকে নিয়ে ভারতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তপ্ত বিতর্ক চলছে। আওরঙ্গজেবকে বলা হয় ‘সর্বশেষ কার্যকর মুঘল সম্রাট’, যিনি ভারতকে ১৬৫৮ থেকে ১৭০৭ এই অর্ধ-শতাব্দী কাল ধরে শাসন করেছেন।

তবে তিনি ইতিহাসবিদদের কাছে কখনোই খুব একটা প্রিয় ছিলেন না। প্রথমত তিনি তার পিতাকে বন্দী করে এবং নিজের বড় ভাইকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেছিলেন। অন্যান্য মুঘল শাসকদের তুলনায় তার খুব একটা সুনাম ছিল না - তার প্রপিতামহ আকবরকে দেখা হয় একজন ধর্মনিরপেক্ষ শাসক হিসেবে, তার দাদা জাহাঙ্গীর শিল্প-সাহিত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে পরিচিত ছিলেন এবং পিতা শাহজাহান ছিলেন একজন রোমান্টিক শাসক যিনি তার স্ত্রীর নামে তাজমহল নির্মাণ করেছেন।

কিন্তু ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাকে প্রায়শই একজন নিষ্ঠুর শাসক হিসেবে বর্ণনা করা হয়। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্য বিস্তারকারী। তিনি কঠোর শরিয়া আইন চালু করেছিলেন। হিন্দুদের জন্য ফিরিয়ে এনেছিলেন বৈষম্যমূলক জিজিয়া কর যা তাদেরকে তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রদান করতে হতো। বলা হয়ে থাকে যে তিনি সঙ্গীতসহ অন্যান্য শিল্পকলাকে ঘৃণা করতেন এবং তিনি বেশ কয়েকটি মন্দির ধ্বংস করে ফেলারও নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এসবই ঘটেছে কয়েকশ বছর আগে। কিন্তু সম্প্রতি তার প্রতি যে ধরনের ঘৃণা দেখা যাচ্ছে সেটা নজিরবিহীন। হিন্দুদের পবিত্র শহর বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মধ্য দিয়ে এটা শুরু হয়। বিশ্বনাথ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। আওরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯ সালে ষোড়শ শতাব্দীর এই হিন্দু মন্দিরটি ধ্বংস করা হয়। এখন সোশাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আওরঙ্গজেবের জন্য মর্যাদাহানিকর হাজার হাজার রেফারেন্স, আদালতের ফাইলেও এসব পাওয়া যাচ্ছে এবং ভারতের বর্তমান হিন্দু জাতীয়তাবাদী শাসকরাও এসব বক্তব্য তুলে ধরছেন।

ডিসেম্বর মাসে বারাণসীতে এক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘আওরঙ্গজেবের নৃশংসতা এবং সন্ত্রাসের’ বিষয়ে কথা বলেছেন। ‘তিনি তরবারির সাহায্যে সভ্যতা বদলানোর চেষ্টা করেছেন। গোঁড়ামির মাধ্যমে তিনি সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চেষ্টা করেছেন,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গত মাসেও শিখ গুরু তেগ বাহাদুরের ৪০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি এই মুঘল সম্রাটের নাম উল্লেখ করেছেন। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করলে তেগ বাহাদুরের শিরশ্চেদ করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘যদিও আওরঙ্গজেব অনেক মস্তক বিচ্ছিন্ন করেছেন, তিনি আমাদের বিশ্বাসে নাড়া দিতে পারেন নি।’

তার এই মন্তব্যে ধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলেন একজন কানাডীয়-আমেরিকান সাংবাদিক যিনি টুইটারে প্রশ্ন তুলেছিলেন ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কেন ৩০০ প্লাস বছর আগে মারা যাওয়া একজন মুঘল সম্রাটকে আক্রমণ করে লম্বা বক্তৃতা দিচ্ছেন?’ বেশ কয়েকটি টুইটের মাধ্যমে ঐতিহাসিক অড্রে ট্রাশকি এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন, হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা বিশ্বাস করে যে ‘মুসলিমরা শত শত বছর ধরে হিন্দুদের পীড়িত করেছে, এবং একারণে আজকের দিনে অতীতের উচিত শাস্তি হিসেবে তাদেরও পীড়িত হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান কালের মুসলিমদের ঘৃণা করা এবং তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা গ্রহণযোগ্য এই ইঙ্গিত দিতেই আওরঙ্গজেবের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে।’

টুইটারে এই আলোচনার পর আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে আরো অনেক ঘৃণা জমা হয়েছে। আগ্রা শহরের মেয়র তাকে একজন ‘কসাই’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন সব জায়গা থেকে তার চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে। টুইটারে মুঘল এই সম্রাটকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘একজন দখলদার’ হিসেবে যিনি হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চেয়েছিলেন। একজন টুইটার ব্যবহারকারী এও বলেছেন হিন্দুদের পূজা করার জায়গায় মুঘলরা যেসব স্মৃতিস্তম্ভ এবং ভবন নির্মাণ করেছে সেগুলো বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলতে হবে।

ভারতের একজন আঞ্চলিক রাজনীতিবিদ আওরঙ্গজেবের সমাধির ‘অস্তিত্ব ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার’ বিষয়ে প্রশ্ন তোলার পর পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে তার সমাধিস্থল দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই নেতা আওরঙ্গজেবের সমাধি ধ্বংস করে ফেলারও আহবান জানিয়েছেন। ইতিহাসবিদ, লেখক এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাদিম রেজাভি বলেছেন, ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘু যারা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিন্দু জনরোষে সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, তাদেরকে খারাপ হিসেবে তুলে ধরতে আওরঙ্গজেব ‘একটি সুবিধাজনক নামে’ পরিণত হয়েছে।

অধ্যাপক রেজাভি বলেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বেশ কিছু হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন এবং হিন্দুদের ওপর বৈষম্যমূলক কর আরোপ করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি ছিলেন জটিল একজন ব্যক্তি এবং তিনি পুরোপুরি শয়তান ছিলেন না। ‘হিন্দু মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণে অনুদান দিয়েছেন, তার রক্তের দিক থেকেও তিনি নিজেও দুই-তৃতীয়াংশ হিন্দু ছিলেন কারণ তার প্রপিতামহ আকবর একজন রাজপুতকে (একটি হিন্দু সম্প্রদায়) বিয়ে করেছিলেন এবং তার শাসনামলে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের মধ্যে আরো অনেক রাজপুত ছিলেন,’ বলেন তিনি।
অধ্যাপক রেজাভি বলেন আওরঙ্গজেব তার ব্যক্তিগত জীবনে মৌলবাদী ছিলেন না, যদিও এই ধারণাটি জনপ্রিয়, এবং ‘তিনি মদ্যপান উপভোগ করতেন, বীণা বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন এবং অন্য যে কোন মুঘল শাসকের সময়ের তুলনায় তার অধীনেই সঙ্গীতের ওপর অনেক বেশি বই রচিত হয়েছে।’ তবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতে এবং কর্তৃত্ব জোরালো করতে আওরঙ্গজেব ধর্মের আশ্রয় নিয়েছেন- যা অনেকটাই বর্তমান সময়ের ভারতীয় নেতাদের মতো।’

‘তবে প্রশ্ন হচ্ছে আওরঙ্গজেব যদি খারাপ ও দুষ্ট প্রকৃতির হন, একজন সাম্প্রদায়িক এবং মৌলবাদী, যিনি মন্দির ধ্বংস করেছেন, আজকের দিনে কি আমাদেরকে তাকেও ছাড়িয়ে যেতে হবে? তিনি একজন স্বৈরশাসক এবং সম্রাট ছিলেন যিনি ৩০০ বছর আগে বেঁচে ছিলেন। সেসময় আধুনিক গণতন্ত্র ছিল না, তাকে পরিচালনার জন্য কোন সংবিধান ছিল না। কিন্তু এখন আমাদের ভারতীয় সংবিধান আছে এবং পার্লামেন্টের আইন আছে, তাহলে যেসব কাজ ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে করা হয়েছে সেগুলো এখন আমরা কিভাবে পুনরাবৃত্তি করতে পারি?’ প্রশ্ন করেন ডক্টর রেজাভি। ‘সুতরাং কেউ যদি সপ্তদশ শতাব্দীর রাজনীতিকে আশকারা দেয়, তাহলে আওরঙ্গজেব সপ্তদশ শতাব্দীতে যেসব অপরাধ করেছিলেন, তারা এর চেয়েও আরো বড় অপরাধ করছে,’ বলেন তিনি। সূত্র : বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • Yousman Ali ২৪ মে, ২০২২, ১:৩০ এএম says : 0
    এখানে এটি মোটেও ওচিত নয় যেটা এখন করতেছে ভারতবাশি
    Total Reply(0) Reply
  • Khan Sayed Musa Pathan ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪৬ এএম says : 0
    তিনি মুঘলদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আলেম শাসক ছিলেন, ইসলাম যেখানে যতো প্রগাঢ়, বাতিলের সেখানেই আতঙ্ক ও আপত্তি!
    Total Reply(1) Reply
  • Rafiqul Islam ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪৬ এএম says : 0
    এরকম একজন ন্যায়পরায়ণ দেশপ্রেমিক শাসক ভারতীয় উপমহাদেশে আর কখনোই ছিলোনা। অথচ তাঁকেও ছাড় দিলো না অসভ্যরা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Sahab Uddin ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪৬ এএম says : 0
    ইসলাম বিদ্বেষীরা আবহমানকাল থেকে মুসলিম দেশপ্রেমি শাসকদের চরিত্রে কলংক লেপনের চেষ্টা করছে,এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Jahangir Alam ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪৭ এএম says : 0
    ভারতীয় হিন্দু +মুসলিমদের মাঝে ফাটল,বিভেদ তৈরি করে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপকৈশল হচ্ছে মুসলিম বিদ্বেষমূলক প্রচারনা। নির্বাচন এলেই অপরাজনীতির চর্চা হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mazidul Islam Rkh ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪৭ এএম says : 0
    ভারত অতীতের ইতিহাস থেকে দুরে রাখতে চায় জনগণকে, কারণ অতীতের ইতিহাস মুসলমানদের জন্য গর্ব
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Ali Akber Jewel ২৪ মে, ২০২২, ৬:৪৮ এএম says : 0
    উনি সঠিক ছিলেন আজ প্রমাণিত হলো, বিজেপি মতো মৌলবাদী দল উনার বিরুদ্ধে কথা বলছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Borhanuddinmiah ২৪ মে, ২০২২, ১১:২২ পিএম says : 0
    Many man many minds...300 years ago no need now blem...We know all...
    Total Reply(0) Reply
  • ছাইদুল ২৫ মে, ২০২২, ১১:২৬ এএম says : 0
    ইসলাম বিদ্বেষীরা আবহমানকাল থেকে মুসলিম দেশপ্রেমি শাসকদের চরিত্রে কলংক ভারত অতীতের ইতিহাস থেকে দুরে রাখতে চায় জনগণকে, কারণ অতীতের ইতিহাস মুসলমানদের জন্য গর্ব চেষ্টা করছে,এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Partha Sarathi Bhattacharyya ২৫ মে, ২০২২, ৩:২৬ পিএম says : 0
    যদি কোনো মুসলিম সুশাসকের নাম ভাবতে হয়, তবে অবশ্যই আলাউদ্দিন খিলজী, শের শাহ সুরী অনেক কৃতবিদ্য আওরঙ্গজেবের তুলনায়। ভারতীয় উপমহাদেশে এই রাজারা এমন কিছু কীর্তি স্থাপন করেছিলেন যা অতুলনীয়। Market regulation এনেছিলেন আলাউদ্দিন। একটি ছুঁচ থেকে হাতি অবধি সবার MRP নির্ধারণ করেছিলেন। শের শাহ তার স্বল্পস্থায়ী রাজত্বকালে, বাংলা থেকে পেসাওয়ার পর্যন্ত রাস্তা বানিয়েছিলেন যা গ্র্যান্ট ট্রাংক রোড নামে পরিচিত। উনি land revenueর যে ব্যবস্থা করেছিলেন তা ব্রিটিশরা প্রায় অপরিবর্তিতরূপে পরিগ্রহণ করেছিল। এখনও তার অংশবিশেষ ব্যবহৃত হয়। সেখানে আওরঙ্গজেব নিজের কোষাগার খালু করে কুড়ি বছর দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধ করলেন। কারওকে বিশ্বাস করতে পারতেন না যেহেতু নিজে অনেক অবিশ্বাসের কাজ করেছিলেন, যেমন নিজের ভাইদের হত্যা এবং পিতাকে কারাবন্দী করা। যখন মারা যান তখন তার প্রথম পুত্র বৃদ্ধ। মোঘল সাম্রাজ্যের পতন শুরু করিয়ে আওরঙ্গজেব মারা গেলেন। He was a megalomaniac like many other megalomaniac from the history. হয়ত দারাসুকো থাকলে কে জানে এক ভীষন পরাক্রমী দেশ হিসেবে সবাই হয়ত এক হয়ে থাকা যেত। তবে আল্লাহর ইচ্ছায়, যেটা হবার সেটাই হয়, তদ্ভিন্ন কিছু হয়না।
    Total Reply(0) Reply
  • Faruque Ahmed ২৮ মে, ২০২২, ১:৫৬ পিএম says : 0
    আওরঙ্গজেব একজন প্রকৃত মুমিন ছিলেন। যিনি কোরআন ও হাদিসের আলোকে সমরাজ্য পরিচালনা করেছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • md mostofa kamal ২৯ মে, ২০২২, ৭:১০ এএম says : 0
    উমাইয়া শাসকদের মধ্যে খলিফা ওমর, আব্বাসিদের মধ্যে খলিফা হারুনুর আর রশিদ এবং মুঘল দের মধ্যে সম্রাট আলমগীর বা আওরঙ্গজেব মুসলিমদের যুবকের মডেল। তাদের বিরুদ্ধাচরণ কোন মুসলিম উম্মাহর সহ্যয করবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • আল আমিন ২৯ মে, ২০২২, ৫:২০ পিএম says : 0
    ধার্মিকদের দেখলে শয়তান গুলোর চুলকায়, এরা তাদের হুজুর,মৌলবাদী বলে, কিন্তু তাদের ও এগুলো করা উচিত ছিল। কিন্ত তারা করে না,তাহলে তাদের ও তো ইবলিশ বলে ডাকা যায় নাকি??
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ