পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাষের মাছকে অভিনব কৌশলে দেশীয় মাছ বলে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। রঙ মেশানো এসব মাছ কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। প্রশাসন বলছে এমন ঘটনা সত্যি গুরুতর। বাজার পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রূপগঞ্জের গাউছিয়া মাছের আড়তসহ বিভিন্ন খুচরা হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে রঙ মেশানো বিষাক্ত মাছ। বিল ও নদীর মাছের মতো দেখানোর জন্য রঙ মেশনো হয়। বিক্রেতারা চাষের মাগুর, কৈ ও শিং মাছকে দেশীয় বলে চালিয়ে দিচ্ছে। চাষের এসব মাছের কেজি সাধারণত ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।
চাষের মাছে রঙ মাখিয়ে দেশীয় বিল ও নদীর বলে প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ভুলতার মর্তুজাবাদ এলাকার গৃহবধূ রিনা ইসলাম বলেন, ‘বাজার চাষের মাছে ঠাসা। অনেক দিন ধরে বিল ও নদীর মাছ চোখেই দেখা যায়নি। হঠাৎ করে একদিন বাজারে দেশীয় বিল ও নদীর মাছ হাকডাক শুনে কিনে প্রতারিত হয়েছি’।
গৃবধূর কথা, তিনি গতকাল সোমবার আব্দুল হক সুপার মার্কেটের সামনে থেকে দেখতে একেবারে অবিকল দেশীয় শিং ও মাগুর মাছ ৬ কেজি কিনেন। বাড়িতে গিয়ে মাছ কাটার সময় হাত রঙিন হয়ে যায়। দেশীয় মাছ থেকে রঙ হাতে লাগার কথা নয় এবং এমন ঘটনা অবাস্তব। বাজার থেকে অনেক আশা নিয়ে কেনার পর হাতে রঙ লাগায় বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
একই ভাবে মধুখালী এলাকার গৃহবধু তাহছিনা নিশাতও প্রতারিত হয়েছেন। তিনি বাজার থেকে কেনা দেশীয় কৈ মাছ বাড়িতে নিয়ে কাটার সময় দুই হাতের তালুসহ আঙুলে বাদামী রঙ লেগে যায়। এ সময় তিনি দাবী করেন ক্ষতিকর রঙ মেশানো মাছ যাতে বাজারে বিক্রি না হয় সে ব্যপারে প্রশাসনকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
মাছের আড়ত ও কাঁচাবাজারে কয়েকজন বিক্রেতা জানান, ক্রেতারা মাছ কেনার সময় একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন মাছের গায়ে অতিরিক্ত রঙের প্রলেপ রয়েছে। উপজেলার গাউছিয়া মাছের আড়ত ছাড়াও আব্দুল হক সুপার মার্কেটের মাছ বাজার, তাঁত বাজার, গাউছিয়া কাঁচাবাজার, কাঞ্চন বাজার, বেলদী বাজার, ইছাপুরা ও কাঞ্চন, আতলাপুরসহ আরও বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে রঙ মিশ্রিত মাছ বিক্রি হচ্ছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাজমুল আহমেদ বলেন, কৈ, মাগুর ও শিং মাছে রঙ দিয়ে তা আকর্ষণীয় করে দেশীয় মাছ বলে বিক্রি জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম হুমকি। এসব রঙ ধোয়ার পরও হাতের চামড়ায় লেগে থাকে। এমনকি রান্না করলেও রঙয়ের বিষাক্ততা থাকতে পারে। ফলে এসব মাছ খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁঁকির আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান বলেন, এ ধরনের প্রতারণার কারনে ভোক্তা অধিকার নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রূপগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান জানান, মাছে রঙ দেয়া আইনত অপরাধ। এ বিষয়ে পর্যাক্রমে বিভিন্ন মাছের বাজার পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।