Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টাইম স্কেল : ৪৮ হাজার শিক্ষকের আপিল শুনানি আজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২২, ১০:৫৯ এএম

বেসরকারি থেকে জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরতের বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি হতে পারে আজ সোমবার।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এটি শুনানির জন্য তালিকার (কজলিস্টে) ৫৫ নম্বরে রয়েছে। শিক্ষকের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আশা করি আজ দুপুরের দিকে শুনানি হতে পারে।
এর আগে ১১ এপ্রিল আপিলটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি এ বিষয়ে করা আপিলের শুনানির জন্য ২২ মে দিন ধার্য করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এটি শুনানির জন্য ওঠে।
২০১৩-১৪ সালে জাতীয়করণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের ‘টাইম স্কেল’ সুবিধা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত বছরের ১২ আগস্ট এই পরিপত্র জারি করা হয়।
এরপর মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের বৈধতা নিয়ে রিট করেন শিক্ষকরা। তবে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই রিট খারিজ করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রিট খারিজের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন শিক্ষকদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম।
রিটের তথ্যমতে, পরিপত্র ও গেজেটের ভিত্তিতে জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২০১৩ সাল থেকে ওই টাইম স্কেলের আর্থিক সুবিধাদি ভোগ করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সংক্ষুব্ধ শিক্ষকরা। তখন হাইকোর্ট বিভাগ পরিপত্র স্থগিত করে রুল জারি করেন।
এর বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৩ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পরে স্থগিতাদেশ তুলে দিতে শিক্ষকরা আপিল করেন। এরপর ১৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগ তিন সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে রিট মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলেন।
সে অনুসারে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই বেঞ্চে এ রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট শিক্ষকদের করা রুল খারিজ করে এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ