টুইটার ডাউন: সমস্যায় কোটি ব্যবহারকারী
বিশ্বের অনেক দেশে ‘টুইটার ডাউন’। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটার সাপোর্ট সেন্টার টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছে।
গুগলে গেলেই আজ দেখতে পাবেন গদা হাতে এক পালোয়ান দাঁড়িয়ে আছেন। ডুডলে সেই পালোয়ান কে জানেন? পাকিস্তানের বিখ্যাত পালোয়ান গামাকে এদিন শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল গুগল। কোনও দিন এই কুস্তিগির কোনও ম্যাচ হারেননি। ব্রুস লি-ও নাকি গুণমুগ্ধ ছিলেন গামা পালোয়ানে।
এই গামা পালোয়ানকে তার ১৪৪তম জন্ম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে ডুডল তৈরি করল গুগল। ভারতের অমৃতসরে জন্ম নেয়া ‘দ্য গ্রেট গামা’ দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। তবে তাকে ডাকা হল রুস্তম-ই-হিন্দ বলে। জন্মকালে গামা পালোয়ানের নাম ছিল গুলাম মহম্মদ বকশ বট্ট। ১৯৭৮ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম গামা পালোয়ানের।
পরবর্তীতে ১৯১০ সালে ‘ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন’ হয়েছিলেন গামা। দিনে ৫০০ বার বুক ডন দিতেন গামা। দশ বছর থেকেই এই ভাবে শারীরিক কশরতের মাধ্যমে নিজকে তৈরি করেছিলেন তিনি। ১৮৮৮ সালে গোটা উপমহাদেশের ৪০০ জন কুস্তিগিরের এক প্রতিযোগিতা জিতে প্রথমবারের মতো নাম কুড়িয়েছিলেন তিনি।
১৯০২ সালে গামা ১২০০ কেজি ওজনের এক পাথর তুলে সবাইকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিলেন। সেই পাথর এখনও বরোদার জাদুঘরে রাখা আছে। গামার উচ্চতা ছিল ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। তার সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিলেন রহিম বখশ সুলতানিওয়ালা। সুলতানিওয়ালার উচ্চতা আবার ছিল সাত ফুট। তবে তার থেকে ১ ফুট ৪ ইঞ্চি ছোট হয়েও গামা হার মানেননি। এই দুই জন একে অপরের বিরুদ্ধে ৪ বার রিঙে নেমেছিলেন। তার মধ্যে তিনবার ম্যাচ ড্র হয়েছিল। এবং একবার গামা ম্যাচ জিতেছিল।
গামার শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারত সফরকালে প্রিন্স অফ ওয়েলস তাকে একটি রুপোর ছড়ি দিয়েছিলেন। গামার শেষ জীবন কেটেছিল লাহোরে। এই বর্ণময় কুস্তিগিরকে সম্মান জানাতে তৈরি হওয়া ডুডলটি এঁকেছেন বৃন্দা জাভেরি। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।