পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নওগাঁর সাপাহারে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমচাষিদের। বাগান থেকে ঝরে পড়া কাঁচা আম বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে। সম্প্রতি কিছুদিন আগের ঝড়ে পড়ে যাওয়া আমের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগে আবারো কালবৈশাখীর কবলে আম ঝরে যাওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় আমচাষিরা।
সদরের আমবাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন মোড়গুলোতে ঝরে পড়া আম কেনার ধুম পড়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। ব্যাবসায়ীরা প্রতিকেজি আম কিনছেন ২-৩ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব আম আঁচার কোম্পানীরা কিনে থাকে। আমচাষিরা বলছেন, ঝড়ের কবলে বাগানের প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে। ল্যাংড়া, নাগ, আম্রপালী, বারি-৪, ফজলীসহ বিভিন্ন জাতের আম ঝরে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন আমচাষিরা। তবে ল্যাংড়া ও নাগফজলী জাতের আম বেশিরভাগ ঝরেছে।
উপজেলার সাহাপাড়া গ্রামের আমচাষি তরুণ সাহা বলেন, আমার ২০ বিঘা বাগানে প্রায় ১৫ মণ আম ঝরে গেছে। আমচাষি সাকোয়াত হোসেন বলেন, আমার প্রায় ১ হাজার ২০০ মণ আম ঝরে গেছে। শ্রমিক লাগিয়ে আম কুড়িয়ে বাজারে এনে বিক্রয় করতে হচ্ছে ২-৩ টাকা কেজি। এতে শ্রমিকের মজুরি ও গাড়ি ভাড়াও ওঠেনা। উপজেলার উমইল গ্রামের আম ব্যবসায়ী মোকসেদুল হক বলেন, আমরা ১২০-১৩০ টাকা মণ আম কিনেছি। আমরা এসব আম আঁচার কোম্পানীতে বিক্রি করবো। সেক্ষেত্রে হয়তো প্রতিমণ আমে ২০-২৫ টাকা লাভ হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, সংশ্লিষ্ট কৃষি দফতরের জরিপ অনুযায়ী পুরো উপজেলায় মোট ২ শতাংশ আম ঝরেছে। তবে ২-৩ টাকা কেজি দরে কাঁচা আম বিক্রয় হওয়ায় অনেকটা দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।