শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও তারকা ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। হাফসেঞ্চুরি ছাড়িয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও লিটন দাস। বল হাতে নাঈম হাসান শিকার করেছেন ৬ উইকেট। আর ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বপ্রতিভ ছিলেন বোলার তাইজুল ইসলাম। এছাড়া দুই ইনিংস মিলেই দারুণ বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান। সবমিলিয়ে দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্সের কারণেই চট্টগ্রামে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ড্র করতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে সবকিছুর মাঝেও কিন্তু রয়েছে স্বাগতিক দলের ব্যর্থতার উদাহরণ। বিশেষ করে নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক আউট হয়েছেন মাত্র ২ রান করে। বল হাতে উইকেট পাননি খালেদ আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়ার রোগেও ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। মাহমুদুল হাসান জয় আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরই সাজঘরে ফেরেন শান্ত ও মুমিনুল। আবার লিটন দাস আউটের পরের বলে ফিরে যান তামিম ইকবাল। এসব বিষয় নিয়েই বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল হককে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন সাংবাদিকরা। অবশ্য সুকৌশলে সব প্রশ্নের জাবাব দেন মুমিনুল। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, জোড়ায় জোড়ায় উইকেট পড়া নিয়ে চিন্তিত কি না বাংলাদেশ দল। পাশাপাশি এটা থেকে উত্তরণের পথ কী? এর জবাবে অধিনায়ক মুমিনুল জানান, কোনো দলে ১১ জনেরই পারফর্ম করা কঠিন। তাই সবাই পারফর্ম না করলেও সমস্যা নেই। কেননা সবাই সেঞ্চুরি করলে রান হবে এগারোশ’। তার কথায়, ‘একটা দলে ১১ জনের পারফর্ম করা কঠিন। যদি ১১ জনই একশ করে রান করেন তাহলে তো রান ১১০০ হবে। আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেট খেলাটাই এরকম। হয় দুইজন পারফর্ম করবে বা তিনজন। যারা করবে তারা বড় করবে। এটা বড় কোনো বিষয় নয়।’

প্রথম টেস্ট থেকে বাংলাদেশ দলের প্রাপ্তি কী? এর জবাবে মুমিনুল বলেন,‘দলগত ভাগে আমরা সবাই ভালো খেলতে পেরেছি এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এটাই দরকার। সবাই যখন ভালো খেলি তখন দলের একটা ভালো ফল হয়।’