Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যাবরেরার কাঠগড়ায় জীবন-সোহেল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা শৃংখলার ব্যাপারে খুবই কঠোর। ফরোয়ার্ড নবীব নেওয়াজ জীবন নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট না করায় ক্যাম্পে উঠতে পারেননি। আর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল ইনজুরিতে থাকলেও কোচকে অবহিত করেননি। ফলে দু’জনই এখন ক্যাবরেরার কাঠ গড়ায় আসামী! পেয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ। আগের দিন বাফুফের কাছ থেকে নোটিশ পেয়ে গতকাল সন্ধ্যার পর সেই নোটিশের জবাবও দিয়েছেন জীবন ও সোহেল। কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী বাফুফে এ দুইজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় জাতীয় দল যখন অনুশীলনে মগ্ন, ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন তখন বগুড়ায় নিজ বাড়িতে। ইনজুরি কিংবা বাজে ফর্মের কারণে আগে বাদ পড়লেও, এবার বাদ দল থেকে তিনি ছিটকে গেছেন সময়মতো ক্যাম্পে রিপোর্ট না করায়। শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে জীবনকে ক্যাম্প থেকেই বিদায় করে দিয়েছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনের এই শাস্তি বাকিদের জন্য একটি উদাহরণ। ভবিষ্যতে নিয়মভঙ্গের মতো কাজ করতে গেলে সবারই জীবনের পরিণতির কথা মনে পড়বে।
পূর্বে শৃংখলা ভেঙ্গে রেহাই পেলেও নতুন কোচ ক্যাবরেরা দায়িত্বে এসে যেন সবকিছু পাল্টে দিতে চাইছেন। শংখলার প্রতি তার জিরো টলারেন্সের কারণে ‘স্যরি’ বলেও দলের ক্যাম্পে সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি জীবন। কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব প্রসঙ্গে জীবন কাল বলেন, ‘কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে আমি লিখেছি, প্রতিবারের মতো এবারও ক্যাম্পের জন্য ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম, তবে কল আসেনি। তারপর আমি নিজেই যোগাযোগ করি। আমি যেটা জানতে পারি, আমার সঙ্গে নাকি বাফুফে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পায়নি। আমি লিখেছি, হয়তো সেই সময় আমার মোবাইল বন্ধ ছিল। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি দ্রুতই ঢাকায় আসার চেষ্টা করি। কিন্তু কোচ আমাকে গ্রহণ করেননি। তারপরেও আমি আমার নিজের ভুল শিকার করেছি। কারো উপরে আমার কোনো ক্ষোভ বা দু:খ নেই। কারো সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নাই। আমার এতদিনের ফুটবল ক্যারিয়ারে অতীতে কখনোই এমনটা হয়নি। তারপরেও যেটা হয়েছে সেই জন্য আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’
এদিকে বাফুফের দায়িত্বশীল সুত্রে জানা গেছে, চিকিৎসার কথা উল্লেখ করে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলও। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ডাক্তার আমাকে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন বিষয়টি জানাতে দলের ম্যানেজারকে ফোন করেছিলাম আমি। কিন্তু তিনি ব্যস্ততাবশত আমার কল ধরতে পারেননি। কোচকে অবশ্য কিছু বলিনি। আমার শারীরিক অবস্থা এবং ডাক্তার পরামর্শের কথাই চিঠিতে লিখেছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ক্যাবরেরার কাঠগড়ায় জীবন-সোহেল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ