পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইরানে প্রবল হয়ে উঠছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। দেশটির ইসফাহান প্রদেশে মঙ্গলবার বড় ধরনের সমাবেশ করেছে সরকারবিরোধীরা। সেখান থেকে তারা দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি ও প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বিরুদ্ধে সেøাগান দিয়েছে। গণমাধ্যমে বিক্ষোভের খবর প্রচারে বাধানিষেধ থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে তথ্যের জন্য। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে আন্দোলনকারীরা বলছেন, আলি খামেনির মৃত্যু হোক, ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হোক। তারা আলি খামেনিকে স্বৈরশাসক বলেও আখ্যায়িত করেন। আল-অ্যারাবিয়ার খবরে জানানো হয়েছে, শুধু ইসফাহান নয়, ইরানের অন্তত ৮টি প্রদেশে আন্দোলন তীব্র হচ্ছে। এরমধ্যে আছে খুজেস্তান, লরেস্তান, চারমাহাল ও বাখতিয়ারি, কোহগিলুয়েহ ও বয়ের-আহমাদ এবং আরদেবিল প্রদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে ইরানে বেড়েই চলেছে দ্রব্যমূল্য। মুরগি, সয়াবিন তেল, ডিম এবং দুধের দাম বেড়েছে ৩০০ শতাংশের বেশি। এ নিয়েই ক্ষুব্ধ দেশটির নাগরিকরা। অধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, আন্দোলন থামাতে কঠিন অবস্থান নিয়েছে সরকার। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এরইমধ্যে অন্তত ৬ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে গুলির শব্দ শোনা গেছে। যদিও ইরান সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো নিহতের খবর প্রচার করেনি। তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এক ব্যক্তি দাবি করেন সরকারবিরোধীরা তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। অধিকারকর্মীরা বলছেন, মূলত সরকারই ওই ব্যক্তিকে বাধ্য করেছে মিথ্যা বিবৃতি দিতে। তার সন্তান সরকারি বাহিনীর হাতেই গুলি খেয়ে মরেছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।