পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম বাড়ানোর পর এখন বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সরিষারও। রাজধানী ঢাকায় কেজিতে এ তেলের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। রাজধানীর বাজারে সরিষার তিন ধরনের তেল পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে মেশিনে ভাঙানো তেলের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির তেল যেমন আছে, সেই সঙ্গে মেলে ঘানি ভাঙানো তেলও। আবার স্থানীয়ভাবে মেশিনে তেল ভাঙানোর যেমন স্থায়ী কেন্দ্র আছে; তেমনি ভ্রাম্যমাণ মেশিনও আছে, যেগুলো অলিগলিতে গিয়ে ক্রেতার সামনে সরিষা ভেঙে তেল বানিয়ে বিক্রি করে। স্থানীয়ভাবে মেশিনে ভাঙানো তেল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। আর ঘানি ভাঙানো তেল মিলছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। বছর খানেক আগেও সরিষার তেলের (মেশিনে ভাঙা) দাম ছিল প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। সেই তেল বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়।
গতকাল শুক্রবার সেগুনবাগিচার উন্মুক্ত অস্থায়ী বাজারসহ ফকিরাপুল, মালিবাগ বাজার, শান্তিনগর বাজার ঘুরে সরিষার তেল ২৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাঁচ কেজির দাম এক হাজার ৪০০ টাকা। এ বাজারের একাধিক ক্রেতা বলেন, রোজার আগে থেকে সয়াবিন তেলের সংকট ভীষণভাবে দেখা দিলে আমরা সরিষা তেল কিনতে শুরু করি। সরিষার তেলের দাম গত ছয় মাস আগে ছিল ১৮০-২০০ টাকা। রোজার আগে এই দাম বেড়ে ২২০-২৮০ টাকায় গড়ায়। গত এক সপ্তাহ যাবত এই তেল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।
এছাড়া শিল্পকলা একাডেমির কাছে রাস্তার ধারে মেশিনে সরিষা ভেঙে তেল বিক্রি করছিলেন সোলায়মান। তিনি বলেন, সয়াবিনের সংকটে এখন কেউ কেউ সরিষার তেলের দিকে ঝুঁকছেন। চাহিদার এরকম অবস্থায় কোম্পানি ও সরিষা তেলের পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সেজন্য সরিষার বাজারও উপরমুখী। সরিষা তেলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন সরিষার দাম সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা মণ। আগে মণ ছিল ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা।
শান্তিনগরে তেল কিনতে আসা শফিক আহমেদ বলেন, এখনও বাজারে সয়াবিন তেল সেইভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য সরিষা তেল নিতে হচ্ছে। সেখানেও দেখি সয়াবিনের উত্তাপ। যারা ব্যবসা করেন, তারা তো আর ধর্মের কথা শোনে না। ক্রেতাদের দুর্ভোগের কথা জানতে চায় না। ওরা লাভের কথা শোনে। সুযোগ পেলে লাভের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়- এটাই এখন নিয়ম। কেউ দেখবার নেই। আমরা আছি বিপাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।