পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের ১৫ দিনে নিহত ৪৪৩ আহত ৮৬৮ জন : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
২৮৩ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭৬ আহত ১৫০০ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
নিরাপদ হয়নি যাত্রাপথ। আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা বলা হলেও সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না। প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম। মায়ের বুক খালি হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়ছেন তার উপর নির্ভরশীল পরিবারের অন্য সদস্যরা। আবার অনেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে পঙ্গুত্ববরণ করে পরিবারে বুঝা হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জীবনে এখন নিত্য আতঙ্কের কারণ হলেও বস্তবায়ন হয়নি সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮।
বিষেশজ্ঞদের মতে, ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকা থেকে কমবেশি ৯০ লাখ মানুষ ঘরমুখী যাত্রা করেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৩ কোটি মানুষ যাতায়াত করেছে। ঈদের আগে-পরে যথেষ্ট ছুটি থাকায় এবং সরকারের কিছুটা তৎপরতার কারণে ঈদযাত্রা তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে গণপরিবহনের টিকেট কালোবাজারী, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও পথে-ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ঈদযাত্রায় সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল ব্যাপক মোটরসাইকেলের ব্যবহার। গণপরিবহন সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী না হওয়া এবং যানজট এড়াতে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা করেছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যদের আক্রান্ত করছে।
গত ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩৭২টি দুর্ঘটনায় ৪১৬ জন নিহত ও ৮৪৪ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সম্মিলিতভাবে ৪০২টি দুর্ঘটনায় ৪৪৩ জন নিহত ও ৮৬৮ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব তথ্য জানান মহাসচিব মোজ্জাম্মেল হক চৌধুরী।
ঈদের আগে-পরে ১৪ দিনে দেশে ২৮৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫০০ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৩৮, শিশু ৫১। ১২৮ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫৬ জন। দুর্ঘটনায় ৫৪ জন পথচারী নিহত হয়েছে। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। এই সময়ে ৭ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ তথ্য দিয়েছে।
সেভ দ্য রোড-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে-পরের ১২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৮১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ২ হাজার ৭৭ জন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ২ বছর করোনা সঙ্কটের কারণে গণপরিবহন বন্ধ-চালুর ফাঁকে প্রায় ১০ লাখ মোটরসাইকেল ও ২০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় নামে। এবারের ঈদযাত্রায় ২৫ লাখ মোটরসাইকেল ও ৪০ লাখ ইজিবাইক রাস্তায় নামে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার উল্লেখযোগ্য তৎপরতার কারণে ঈদযাত্রা খানিকটা স্বস্তিদায়ক হলেও সড়ক দুর্ঘটনা বরাবরের মতো বেড়েছে। ২৬ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪১৬ জন নিহত ও ৮৪৪ জন আহত হয়েছেন। ২০২১ সালের ঈদুল ফিতরে যাতায়াতের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১৪ দশমিক ৫১ শতাংশ, নিহত ২২ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও আহত ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে রেলপথে ২৭ ঘটনায় ২৫ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ৩টি দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে মোটরসাইকেল। এবার ১৬৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৫ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, নিহতের ৩৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও আহতের ১৩ দশমিক ০৩ শতাংশ প্রায়। এই সময় সড়কে দুর্ঘটনায় শিকার ২০৯ চালক, ২৪ পরিবহন শ্রমিক, ৮৮ পথচারী, ৬২ নারী, ৩৫ শিশু, ৩৩ শিক্ষার্থী, ২ সাংবাদিক, ৮ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ২ শিক্ষক, ৬ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ২ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একজন চিকিৎসকের পরিচয় মিলেছে।
দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৩৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি, ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ কার-মাইক্রো-জিপ, ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা, ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ অটোরিকশা, ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ ব্যাটারি চালিত রিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল ও ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ বাস এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল। মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২ দশমিক ৪১ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় মহাসড়কে ঈদযাত্রার বহরে মোটরসাইকেলের ব্যাপক ব্যবহার, জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো, জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকদের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে, মহাসড়কের নির্মাণ ত্রæটি, যানবাহনের ত্রæটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও বেপরোয়া যানবাহন চালানো। দুর্ঘটনার প্রতিরোধে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
এদিকে, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে দেশে ২৮৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫০০ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৩৮, শিশু ৫১। ১২৮ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৫৬ জন, যা মোট নিহতের ৪১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ৫৪ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪৯ জন, অর্থাৎ ১৩ শতাংশ। এই সময়ে ৭ টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ২ জন আহত হয়েছে এবং ২ জন নিখোঁজ রয়েছে। ১৭ টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩ জন আহত হয়েছে।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৫৬ জন, বাস যাত্রী ৩২ জন, ট্রাক-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ২০ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স- জীপ যাত্রী ১৫ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী ৭৮ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১৩ জন এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল আরোহী ৮ জন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৩২টি জাতীয় মহাসড়কে, ৮৭টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪১টি গ্রামীণ সড়কে, ২৩টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, প্রাণহানি ২৮ দশমিক ১৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২০ দশমিক ৮৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১০ দশমিক ১০ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, প্রাণহানি ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, প্রাণহানি ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, প্রাণহানি ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ ঘটেছে।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৮৩ টি দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৭ টি দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৯ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং নাটোর জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৮ জন নিহত হয়েছে। শরীয়তপুর, খাগড়াছড়ি, নড়াইল, ঝালকাঠি, ঠাকুরগাঁও এবং নেত্রকোনা- এই ৬ টি জেলায় সামান্য সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি ঘটেনি।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশে বর্তমানে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক ক্যান্সারের মতো বেড়ে যাওয়ার কারণে পঙ্গু হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ রোগী ভর্তি হলেও ঈদের এইসময়ে ২০০ থেকে ২৫০ জন হারে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার ৬০ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৫ শতাংশ ইজিবাইক দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছে। দেশের বিভাগীয় হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ১০০ সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ পথের উন্নয়নে সরকার কয়েক লাখ কোটি টাকার প্রকল্প প্রায় একযুগ ধরে বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রিতা, মেগা প্রকল্পের কারণে এসব প্রকল্প এখনো চালু না হওয়ায় অন্যদিকে গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায়, ভোগান্তি ও যানজট থেকে বাঁচতে মানুষ বিকল্প হিসেবে এসব ছোট পরিবহনের ব্যবহার অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে। ফলে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা কল্পনার চেয়েও বেশি গতিতে বাড়ছে। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধের পাশাপাশি গণপরিবহনকে বিকশিত করার দাবি জানান।
বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. হাদিউজ্জামান বলেন, প্রতিবছর পাঁচ লাখ মােটরসাইকেল বিপণন করে কোম্পানিগুলোর পাঁচ হাজার কোটি টাকা আয় হলেও দুর্ঘটনায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। বেশি সিসির মোটরসাইকেল অনুমোদন দেয়ায় বিআরটিএর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে। আমরা এ সিদ্ধান্ত পরিবতনের আহŸান জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।