মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে ফের আলোচনায় সম্রাট শাহজাহান নির্মিত সহধর্মিণী মমতাজের সমাধি ‘তাজমহল’। স¤প্রতি তাজমহলের রহস্যঘেরা ‘২২ বন্ধ কক্ষ’ খোলার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা শাখার বিজেপি নেতা ড. রজনীশ সিং। এবার তাজমহল যে জমির ওপর নির্মিত, সেটি নিজেদের ছিল বলে দাবি করলেন আরেক বিজেপি নেত্রী দিয়া কুমারী। দিয়া রাজস্থানের বিজেপির সংসদ সদস্য। তিনি জয়পুরের মহারানি গায়ত্রী দেবীর নাতনি। বুধবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে বিজেপির এই নেত্রী বলেন, ‘তাজমহলের জমি আমাদেরই ছিল। তাজমহল নির্মাণের জন্য জমি নেওয়ার বিনিময়ে জয়পুরের রাজা জয় সিংহকে সম্রাট শাহজাহান ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। জয়পুর রাজপরিবারের কাছে তাজমহলের ওই জমির নথিও রয়েছে।’ দিয়া কুমারী জানান, জয়পুর পরিবারের কাছে একাধিক রেকর্ড রয়েছে, যা তিনি প্রয়োজনে সরবরাহ করবেন। তবে জমির ক্ষতিপূরণ তার পরিবার গ্রহণ করেছিল কিনা তা তার জানা নেই বলেন জানান দিয়া কুমারী। এ বিজেপি নেত্রী বলেন, সেই সময় বিচারব্যবস্থা ছিল না। তাই মোগল সম্রাটের বিরুদ্ধে গিয়ে আপিল করার কোনো সুযোগ ছিল না তার পরিবারের। তবে যেসব নথি রয়েছে, সেগুলো খতিয়ে দেখলেই সব কিছু পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে। অযোধ্যা শাখার বিজেপি নেতা ড. রজনীশ সিংয়ের সেই আবেদনের সঙ্গেও একমত হন দিয়া কুমারী। বলেন, ‘তাজমহল নির্মাণের আগে সেখানে কী ছিল তা তদন্ত করা উচিত। জনগণের তা জানার অধিকার রয়েছে। জয়পুর পরিবারের কাছে জমির নথি রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে সেটি আদালতকে দেওয়া হবে।’ কয়েকজন ইতিহাসবিদের মতে, রাজস্থানের উদয়পুরের রাজারা মোগলদের বিরুদ্ধে লড়াই চালালেও জয়পুরের রাজপরিবার বরাবরই ছিল মোগল-ঘনিষ্ঠ। রাজা মানসিংহ ছিলেন সম্রাট আকবরের অন্যতম সেনাপতি। সেই সূত্রেই যমুনার তীরের ওই জমি মানসিংহের হাতে এসেছিল বলে জয়পুর রাজপরিবারের দাবি। উত্তরাধিকার সূত্রে সেই জমি নাকি পেয়েছিলেন রাজা জয়সিংহ। তিনিও মোগল দরবারে উচ্চপদে ছিলেন। টিওআই, এবিপি, ওয়ান ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।