পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ৩টি শর্তে জামিন দেয়া হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের আর কোনো মামলা না থাকায় এ জামিন মঞ্জুর করা হয়। তার আইনজীবীরা গতকাল বুধবার সকালেই জানান, তার মুক্তিতে বাধা নেই।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো: আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। শর্তগুলো হচ্ছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করা যাবে না। পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতের ধার্যকৃত পরবর্তী তারিখে জমা দিতে হবে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির আদেশ পেয়েই সিসিইউ থেকে কারারক্ষী সরিয়ে নেয়া হয়।
বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রি. জেনারেল নজরুল ইসলাম খান বলেন, সম্রাট এখনো হাসপাতালের সিসিইউতে রয়েছেন। আগামীকাল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক পরামর্শ দেবেন আর কতদিন থাকতে হবে। তার সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে এ পরিচালক বলেন, তার শারীরিক অবস্থা অনেকটা জটিল। হয়তো বা দেশের বাইরেও তাকে চিকিৎসা নিতে হতে পারে। তবে দেশের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি তার পরিবারের ওপর নির্ভর করবে।
গতকাল এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। একইসঙ্গে তার জামিন আবেদনও করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, দুদকের মামলায় সম্রাটের অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী বিদেশে থাকায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। এছাড়া সম্রাটের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত মানবিক কারণে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হীরা বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে এরইমধ্যে ৩ মামলার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া ৬ মাসের সাজা আরও আগেই শেষ হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট। আর কোনো মামলা না থাকায় তার মুক্তিতে বাধা নেই। এদিকে গত ১১ এপ্রিল রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার। গত ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন। দুদকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওইদিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়। কারাবন্দি থাকলেও সম্রাট অধিকাংশ সময়ই হাসপাতালে ‘চিকিৎসাধীন’ ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।