পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে শুধু অনুসন্ধানেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পার করে দিয়েছে এক যুগ। বারবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কর্মকর্তা অবসরে চলে গেছেন। কারওবা হয়েছে পদোন্নতি। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তাদের অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে চলে গেছেন অবসরে। তারা কারও বা হয়েছে পদোন্নতি। যারা এখনও চাকরিতে রয়েছেন, তারা বিপুল উদ্যোমে জড়িয়ে পড়েছেন দুর্নীতিতে। এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে দুদকের ২৬টি অনুসন্ধান প্রশ্নে। আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন সাব-রেজিস্ট্রার এবং সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলীদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছিল সংস্থাটি।
দুদক সূত্র জানায়, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে অন্তত : ২৬ দুর্নীতি অভিযোগের অনুসন্ধান। এর মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদফতর, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে কর্মরত প্রকৌশলী, তাদের স্ত্রী-সন্তান এবং ঋণের নামে ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অনুসন্ধানও রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উচ্চ আদালতে রিট করে অনুসন্ধান স্থগিত করে রেখেছেন। তবে এ যুক্তি মানতে নারাজ আইনজ্ঞরা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদের মতে, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকলে সেগুলো রদ (ভ্যাকেট) করার সুযোগ দুদকের রয়েছে। সংস্থাটি যদি তা না করে থাকে, তাহলে বুঝতে হবেÑ এখানে দুদকের সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ একটি অজুহাত মাত্র। দুদকের সাবেক কৌঁসুলি ব্যারিস্টার আকবর আমীন বলেন, অনুসন্ধান থেকে চার্জশিট দাখিল-দুদকের প্রতিটি পদক্ষেপই জাস্টিফায়েড। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকলে সেটি ভ্যাকেট করার টুলসও দুদকের হাতে রয়েছে। স্থগিতাদেশের দোহাই দিয়ে অনুসন্ধান ঝুলিয়ে রাখার মাঝে পক্ষ বিশেষের কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে বলে এখানে প্রতীয়মান।
সূত্রমতে, ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশন বিভিন্ন সেক্টরে সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় অন্যতম দুর্নীতিপ্রবণ খাত হিসেবে পরিচিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে হানা দেয় দুদক। দুদক সে সময় ‘দুর্নীতি এবং গুরুতর অপরাধ দমন অভিযান সংক্রান্ত কমিটি’ (টাস্কফোর্স)র সহযোগিতায় দুর্নীতিগ্রস্ত সাব-রেজিস্ট্রার, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রকৌশলী, তাদের অধীনস্থ কর্মচারী, স্ত্রী-সন্তান এবং ঋণের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসে। দুর্নীতিগ্রস্ত অন্তত: শতাধিক সাব-রেজিস্ট্রার, সওজ’র প্রকৌশলী, কর্মচারী দুদকের জালে আটকা পড়ে। তাদের অনেকেই গঠিত ‘ট্রুথ কমিশন’ এ গিয়ে দুর্নীতির দায় স্বীকার করে দায়মুক্তি সনদ গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ট্রুথ কমিশন বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলে ‘আত্মস্বীকৃতি দুর্নীতিবাজ’ হিসেবে এসব সাব-রেজিস্ট্রার এবং রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পুনরায় অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। অনুসন্ধানের পর তাদের অনেকের রেকর্ডপত্র এবং সম্পদ বিবরণী তলব করা হয়। তলবি চিঠিপত্রের ভিত্তিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ হাইকোর্টে রিট করেন। এতে ২০০৮ সালের দিকেই কার্যত অনুসন্ধান বন্ধ হয়ে যায়।
মাঝে এক যুগ অতিবাহিত হলেও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অব্যাহতি দেয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়নি। বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও নিষ্পত্তি হয়নি অনুসন্ধানের। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অনেকেই দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে অবসরে চলে গেছেন। যারা চাকরিতে রয়েছেন তারা বিপুল উদ্যোমে দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এদিকে অনুসন্ধান কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অবসরে চলে গেছেন। চাকরি যারা আছেন তাদের কারও কারও পদোন্নতি হয়েছে। তাই অনুসন্ধানগুলো নিষ্পত্তির বিষয়ে তাদেরও বিশেষ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির বিষয়ে কমিশনেরও তেমন গরজ নেই। ফলে ২৬টি অনুসন্ধানের বিষয়ে দুদকে দেখা দিয়েছে নৈরাজ্য।
জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাদের বিশেষ বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই অনুসন্ধানগুলোর ঠিকানা এখন ডিপ ফ্রিজ। নিকট ভবিষ্যতেও অনুসন্ধানগুলোর হিল্লে হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ঢাকার তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার মো: আবদুল হামিদ হাওলাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শুরু হয় ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ। একই বছর ২২ এপ্রিল এটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয় তৎকালিন সহকারী পরিচালক মো. সালাম আলী মোল্লাকে। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় তিনি আব্দুল হামিদ হাওলাদারের অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে তিনি এ সাব-রেজিস্ট্রারের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেন। কিন্তু তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে ২০১৩ সালে হাইকোর্টে রিট (নং-৩৫২/২০১২) করেন। রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেন। সেই ‘স্থগিতাদেশ’ প্রত্যাহারে (ভ্যাকেট) কমিশন কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও বৈদ্যের বাজারের তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার মো. মুজিবর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৮ মে অনুসন্ধান শুরু হয়। একই বছর ২৬ জুন একই কর্মকর্তাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। রিট করে (নং-১৮০২/১২) এই অনুসন্ধানটিও স্থগিত করে রাখা হয়েছে। ৯ বছরেও স্থগিতাদেশ রদ করার উদ্যোগ নেয়নি কমিশন।
মুন্সিগঞ্জের তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার মো.আব্দুল জলিল। ২০০৮ সালের ২৬ জুন তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু হয়। ২০১১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযোগটি অনুসন্ধান শুরু করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের (রিট নং-২৯০৯/১২) কারণে ২০১২ সাল থেকে অনুসন্ধানটি স্থগিত হয়ে আছে।
টাঙ্গাইলের সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুস সামাদ মিয়া। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। দুদকের একই কর্মকর্তা অভিযোগ অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান। রিটের (নং-১৬৬৮/১২) প্রেক্ষিতে স্থগিত হয়ে আছে এটিও।
শরীয়তপুরের তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার মো.আব্দুল বাতেন। তার বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করে ২০০৮ সালের ৩০ জুন। একই রিটের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ থাকায় এটির কোনো কর্মকর্তাই নিয়োগ হয়নি।
ঢাকার সাভারের তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার আব্দুল জব্বার খান। ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগটি অনুসন্ধান করেন উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন। ২০১২ সাল থেকে এটির অনুসন্ধান স্থগিত (রিট নং-১৫৪২/১২) হয়ে আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের সাব-রেজিস্ট্রার খন্দকার হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয় ২০০৮ সালের ১৮ মে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত এটি অনুসন্ধান করেন উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন। পরে এটি হাইকোর্টে স্থগিত (রিট নং-১৫৪৮/১২) হয়ে যায়। কেরাণীগঞ্জের তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার মো: রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয় ২০০৮ সালের ১৮ মে। অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-সহকারী পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন। স্থগিত (রিট নং-৩৮৮৩/১২) আছে ২০১২ সাল থেকে।
অবসরপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার আব্দুল আউয়াল। ২০০৮ সালের ৩০ জুন থেকে অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধান কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো.সালাম আলী মোল্লা। এটি স্থগিত (রিট নং-১০৪৩১/১১) আছে ২০১১ সাল থেকে।
একইভাবে স্থগিত আছে সড়ক ও জনপথের প্রধান সহকারী রেজা-ই-রাব্বি মাতলবুদ্দারাইনের অনুসন্ধান। সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মো. আলী আকবর এটি অনুসন্ধান শুরু করেন। পৃথক দু’টি রিটের (নং-১২৯২ ও ১২৯৩/১২) প্রেক্ষিতে এটি স্থগিত হয়ে আছে।
সড়ক ও জনপথের তৎকালিন নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছিলেন সহকারী পরিচারক সালাম আলী মোল্লা। নাজমুল হকের স্ত্রী দিলওয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছিলেন উপ-পরিচালক মো. জালালউদ্দিন। পৃথক রিটের (নং-৩৫৪/১২ এবং ৮৭২৭/১১) প্রেক্ষিতে স্থগিত হয়ে আছে দু’টি অনুসন্ধানই। নাজমুল হকের দুই পুত্র সুমন শাহরিয়ার এবং ইমন শাহরিয়ারে বিরুদ্ধেও ছিল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। অনুসন্ধান করছিলেন মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। অনুসন্ধান স্থগিত (রিট নং-৮৯৪০/১১) হয়ে আছে ২০১১ সাল থেকে।
সওজ’র উচ্চমান সহকারী মো. মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেন দুদকের তৎকালিন সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর। রিটের (নং-৩৫৩/১২) প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানটি এখন পর্যন্ত স্থগিত।
টঙ্গি সড়ক বিভাগের তৎকালিন উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে স্থগিত (রিট নং-১৩৩৯/১২) হয়ে আছে। এটির কোনো অনুসন্ধান কর্মকর্তা নেই। তার স্ত্রী উম্মে হাবিবার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানও স্থগিত হয়ে আছে। উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা এটি অনুসন্ধান করছিলেন।
সওজ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নূরুল হক। এটি এখন কে অনুসন্ধান করছেন-জানা যায় না। তবে স্থগিত (রিট নং-৭৭৬/১২) হয়ে আছে ২০১২ সাল থেকে। তার স্ত্রী সেলিনা হকের অনুসন্ধানও স্থগিত (রিট নং-৮৭২৬/১১) রয়েছে। এটি অনুসন্ধান করছিলেন উপ-পরিচালক মো. লুৎফর রহমান।
সওজ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ফখরুল আলম তালুকদার। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু হয় ২০০৮ সালের ৮ জুলাই। ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতাউর রহমান সরকার এটি অনুসন্ধান করেন। এটি স্থগিত (রিট নং-১০১৫৭/১১) আছে ২০১১ সাল থেকেই। তার স্ত্রী সামসুন্নাহার তালুকদারে বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছিলেন উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা। রিটের (নং-১০১৫৬/১১) প্রেক্ষিতে এটি স্থগিত আছে।
সওজ’র খাগড়াছড়ি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জলিলুর রহমান প্রামাণিক। রিট (নং-৯৫৯২/১১) করে অনুসন্ধান স্থগিত করে দেয়ায় এটির অনুসন্ধান কর্মকর্তাই নিয়োগ করা হয়নি।
সওজ’র ঢাকার নির্বাহী প্রকৌশলী পিয়ার মোহাম্মদ। তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানটি স্থগিত (রিট নং-৫১৭/১১) আছে ২০১১ সাল থেকে। উপ-পরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু এটির অনুসন্ধান করছিলেন।
একই প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিনের অনুসন্ধান করছিলেন উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম। এটি স্থগিত (নং-৯৩৬৪/১১) আছে ২০১১ সাল থেকে।
উপ-সচিব নূরুননবীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয় ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নাজিমউদ্দিন এটি অনুসন্ধান করছিলেন। ইতিমধ্যে দুদকের এই কর্মকর্তা অবসরে চলে গেছেন। অনুসন্ধানটি (রিট নং-১৮৬৬/১২) স্থগিত হয়ে আছে ২০১২ সাল থেকে।
‘তানাকা গ্রুপ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন মাহিন এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয় ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট। তাদের অবৈধ সম্পদের তালিকায় রয়েছে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় ৭টি বাড়ি,৩টি মার্কেট, ২ হাজার শতাংশের বেশি জমি ক্রয়, নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা অর্জন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একাধিক ফ্ল্যাট এবং বিপুল সম্পদ। এছাড়া মহিউদ্দিন মাহিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ এবং আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এটি অনুসন্ধান করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোনায়েম হোসেন। হাইকোর্টে রিট করে অনুসন্ধানটি স্থগিত করে রাখা হয়েছে।
দীর্ঘ দিন দুদকের অনুসন্ধান স্থগিতের বিষয়ে জানতে গতকাল শনিবার দুদক সচিব ড. মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারকে একাধিকবার ফোন দেয়া হয়। কিন্তু ফোন তিনি রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।