নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারকে ঘিরে বুধবার সকালে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে যেন বসেছিল তাঁরার মেলা। সেই মেলায় উচ্ছ্বসিত ছিলেন পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকরা। এদিন জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মনোনীত দেশের ৮৫ জন বরেণ্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পুরস্কার গ্রহণ করেন। ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সময় স্বল্পতার জন্য শুধুমাত্র ২০২০ সালের পদকজয়ীদের মঞ্চে পদক দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি ২০২০ সালে নির্বাচিত ৮ জনকে মঞ্চে পদক পরিয়ে দেন। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের নির্বাচিতদের অনুষ্ঠান শুরুর সময় পদক ও ক্রেস্ট সরবারহ করা হয়। ২০১৩-২০১৯ সালের পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণার পর তারা দাঁড়িয়ে পদক ও ক্রেস্ট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান জানান।
সুদূর কানাডা থেকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নিতে এসেছিলেন বাংলাদেশের তারকা গোলরক্ষক মো. মহসিন। আমেরিকা থেকে আসেন ১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু সাফ গেমসে স্বর্ণজয়ী জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জুয়েল রানা। প্রয়াত হকি তারকা খাজা রহমতউল্লাহর স্ত্রী নাদিরা রহমতউল্লাহ তার স্বামীর পুরস্কার গ্রহণ করে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। আগের দিন অ্যাথলেট যুথির ভগ্নিপতি মারা যান। সেই শোক না কাটতেই খুলনা থেকে আসা যুথি কিছু বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছিলেন। বাবার সাফল্যের স্বীকৃতির সাক্ষী হতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন ফুটবলার ইলিয়াস হোসেনের ছোট মেয়ে। ব্যাডমিন্টন তারকা জোবায়েদুর রহমান রানা, অ্যাথলেট সুলতানা পারভীন লাভলী, রোকেয়া বেগম খুকী, ক্রিকেটার কাজী হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাহমুদ সুজন, ফুটবলার আরিফ খান জয়, খন্দকার আবদুর রকিব, বরুণ বিকাশ দেওয়ান, আবু ইউসুফ, হকি তারকা মাহবুব হারুন, সাঁতারু মাহফুজা রহমান তানিয়া, রেহানা জামান, নিবেদিতা দাসদের আলোর ঝলকানিতে যেন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠানটি।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ফজলুর রহমান বাবুল, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, জালাল ইউনুস, একে সরকার, শেখ বশির আহমেদ মামুন, ইন্তেখাবুল হামিদ অপু, মাহমুদুল ইসলাম রানা ও শওকত আলী খান জাহাঙ্গীরদের মতো প্রথিতযশা ক্রীড়া সংগঠকদের পুরস্কৃত করতে পেরে জাতি যেন নিজের দায় সারলো। আর এই সম্মান অর্জনে গর্বিত পুরস্কারপ্রাপ্তরা বাঁচলেন হাফ ছেড়ে। কারণ দেরীতে হলেও যে তারা পেলেন স্বীকৃতি।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে দিনটি একটু অন্যরকমই ছিল বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক ও রাজনীতিবিদ মোজাফফর হোসেন পল্টু ও তার ভাই ক্রিকেট সংগঠক এনায়েত হোসেন সিরাজের জন্য। একই দিনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার গ্রহণ করেছেন দুই সহোদর। স্বাধীনাত্তোর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রতিষ্ঠাতাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন পল্টু। ক্লাব ও জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদান থাকলেও এর স্বীকৃতি পেলেন স্বাধীনতার ৫০ বছর পর। বেশ দেরীতে হলেও একই দিনে দুই ভাই পুরস্কার পাওয়ায় কিছু রোমাঞ্চিত পল্টু। অনুভূতিও অন্যরকম। তার কথায়, ‘এই বয়সে এসে পুরস্কার পেয়ে ভালোই লাগছে। হয়তো আগেও পেতে পারতাম। দুই ভাই একই দিন পুরস্কার পেলাম এটার অনুভূতি অন্য সব কিছুর চেয়ে আলাদা। হয়তো এটিই বিধাতা চেয়েছিলেন।’
বুধবার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ২০১৩ সালের ১১জন, ২০১৪ সালের ১০, ২০১৫ সালের ১১, ২০১৬ সালের ১৩, ২০১৭ সালের ১১, ২০১৮ সালের ১০, ২০১৯ সালের ১১ ও ২০২০ সালের জন্য ৮সহ মোট ৮৫জন মনোনীত হয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।